ভেস্তে গেল কোয়াবের বর্তমান কমিটির পদত্যাগের দাবি?

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাঁচ মাস আগে ক্রিকেটারদের আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশের ক্রীড়াঙ্গন। শুরুতে ১১ দফা দাবি নিয়ে এই আন্দোলন শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ায় ১৩টিতে। ক্রিকেটারদের এই দাবিগুলোর মধ্যে একটি ছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াবের) বর্তমান কমিটির পদত্যাগ।
ক্রিকেটারদের দাবি ছিল সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়, সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল যেন সরে যায়। যদিও ক্রিকেটারদের তোপের মুখেও পদত্যাগ করেননি এই তিনজন।
বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন দাবি মেনে নেয়ার সময় বলেছিলেন, 'কোয়াব আমাদের অধীনে নেই। তাই এক নম্বর দাবি নিয়ে বিসিবির কিছু করার নেই। আমরা দুর্জয় (কোয়াব সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়) ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের সঙ্গে একমত। আমাদের একটা নির্বাচন করতে হবে। জাতীয় লিগের পর ফাঁকা সময়ে আমরা বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়ে নতুনভাবে কমিটি গঠন করব।’
নতুন কমিটি গঠন করতে চাইলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চেয়েও সেই কমিটি গঠন করতে পারেনি কোয়াব। সংগঠনটির বর্তমান কমিটি দায়িত্ব হস্তান্তর করতে প্রস্তুত থাকলেও দায়িত্ব গ্রহণের মতো নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি বর্তমান ক্রিকেটারদের একাধীকবার মিটিংয়ে ডাকা হলেও জহুরুল ইসলাম অমি ছাড়া কেউ সাড়া দেয়নি।

৫ মাস পর এসব ঘটনা পেছনে ফেলে দেখা গেল উল্টো চিত্র। যে কমিটির পদত্যাগ চেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা, তাঁদের সঙ্গেই কাজ করছেন ওয়ানডে এবং টেস্ট অধিনায়ক।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বসে নেই কোয়াব। দুঃস্থ এবং খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংস্থাটিও তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এই কমিটিতে তামিম ইকবাল এবং মুমিনুল হকও রয়েছেন। বুধবার (এপ্রিল ০১) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।
কোয়াবের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। এছাড়াও কোয়াবের সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, দেশের এমন পরিস্থিতির সামনে কি তাহলে ভেস্তে গেল ক্রিকেটারদের সেই দাবি? যদিও এর কোনো ব্যাখ্যা এখনও কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। যে কমিটির পদত্যাগ চেয়ে ক্রিকেটাররা আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁদের সঙ্গেই কাজ করছেন আবারও।
ক্রিকেটারদের স্বার্থরক্ষার জন্য ১৯৯৯ সালে গঠিত হয়েছিল কোয়াব। ২০০৮ সালের পর টানা ১১ বছর কোয়াবের একই কমিটি বহাল আছে।
২০০৪ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের স্বীকৃতি পাওয়া এ সংগঠনের সদস্য এখন প্রায় ৬০০। সংগঠনটি পরিচালনা করে ১৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি।
প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সভাপতি ছিলেন হেলাল উদ্দিন লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। দুর্জয় এখন এ সংগঠনের সভাপতি। আর সাধারণ সম্পাদক আরেক সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল।