ফাইনালের ঘটনায় পাঁচ যুবার শাস্তি

ছবি: ছবি - আইসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তিন বাংলাদেশী এবং দুই ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারকে আইসিসির শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ এলারডিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ যুবদলের তৌহিদ হৃদয় , শামিম হোসেন ও রাকিবুল হাসান এবং ভারতীয় যুবদলের আকাশ সিং ও রবি বিশ্নয়কে দোষী সাব্যস্ত করে আইসিসি। হৃদয় , শামিম ও আকাশ সিং এর নামের পাশে ৬ ডিমেরিট এবং রাকিবুল ও বিশ্নই এর নামের পাশে যোগ হয় ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট। এছাড়াও ভারতের বিশ্নইকে অভিষেক দাসের উইকেটের পর অশোভন অঙ্গভঙ্গির দায়ে আরো ২ ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়।
ফাইনালে শেষ মুহূর্তে জয়ের জন্য এক রান দরকার ছিল। মিড উইকেট বল ঠেলে দিয়ে রাকিবুল হাসান এক রান নিতেই উৎসবে ফেটে পড়েন সাইডলাইনে দাঁড়ানো থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আকবর-রাকিবুলদের দিকে ছুটে যান সাকিব-তামিম-ইমনরা।

প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। তাই ক্রিকেটারদের উল্লাসও ছিল মাত্রাহীন। ভারতের ক্রিকেটারদের সামনে উল্লাস করায় সে সময় মাঠে ঘটে গেছে অনাকাঙ্খিত এক ঘটনা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ভারতের ক্রিকেটাররা। এমনকি ধাক্কা ধাক্কিও হয়েছে দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। এই ঘটনা সামাল দিতে এগিয়ে আসেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
ম্যাচ শেষে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজার আনিল প্যাটেলের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন, তিনি জানিয়েছেন, আইসিসি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে এবং এই বিষয়ে তদন্তের জন্য শেষ কয়েক মিনিটের ভিডিও বিশ্লেষন করবেন।
ভারতীয় দলের ম্যানেজার বলেছেন, 'আইসিসির অফিসিয়ালরা ভিডিও ফুটেজ দেখবে এবং তারা আমাদের জানাবেন। ম্যাচ রেফারি আমার কাছে এসেছিলো। তিনি এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন তারা এটাকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন এবং ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেবেন তারা।'
এই ঘটনায় ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক প্রিয়ম গার্গ বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরই দোষ দেখছেন। তিনি মনে করেন তাঁর দলের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া ছিল ভীষণ খারাপ।
এ প্রসঙ্গে ভারতের অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কোনও সমস্যা ছিল না। খেলায় হার-জিত থাকবে, এটাইতো স্বাভাবিক। কিন্তু ওদের প্রতিক্রিয়া ভীষণ খারাপ ছিল। ক্রিকেটে এমনটা হওয়া উতি নয়।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী অবশ্য এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি মনে করেন, ফাইনালে আবেগ অনেক সময় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। অনেক সময় আবেগ ধরে রাখা সম্ভব হয় না। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আকবর বলেছেন, ‘আমি বলবো, যা হয়েছে, তা হওয়া উচিত হয়নি। যদিও কী হয়েছে, আমি জানি না। সবাই জানেন ফাইনালে আবেগ অনেক সময় মাত্রা ছাড়া হয়ে যায়। অনেক সময় আবেগ ধরে রাখা সম্ভব হয় না। কোনও পরিস্থিতিতেই এমন কিছু হওয়া উচিত নয়। প্রতিপক্ষকে আমাদের সম্মান করা উচিত, খেলাটাকেও সম্মান করা উচিত। কারণ ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা হিসেবেই পরিচিত। আমার দলের পক্ষ থেকে আমি দুঃখিত।’