আকবরদের কাছ থেকে শিখতে আপত্তি নেই মুমিনুলের

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সবাই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে টিভিতে চোখে রেখেছিলেন। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দিনের খেলা শেষে তারা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত টিভি পর্দায় দেখেছেন। এদিন শেষ বিকেলে পাকিস্তানের স্পিনার নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন বাকি চার উইকেট নিয়ে দেড় ঘণ্টাও লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। তারা অল আউট হয়েছে ১৬৮ রানে।

এর ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস ও ৪৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এমন হতাশার হারের পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কি যুবাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেবেন? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে মুমিনুলকে।
তিনি জানিয়েছেন, যুবা ক্রিকেটারদের কাছ থেকে শিখতে কোনো আপত্তি নেই তাঁর। মুমিনুল মনে করেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল দেখিয়েছে, কীভাবে ভালো ফলাফল পেতে হয়। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আকবর আলীর দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
মুমিনুল বলেছেন, ‘অবশ্যই! আপনি যদি কিছু শিখতে চান, তাহলে যেকোনো জায়গা থেকেই শিখতে পারেন। সেটা হোক জুনিয়র বা সিনিয়র দল। আমি মনে করি, অনূর্ধ্ব-১৯ দল আমাদের দেখিয়েছে, কীভাবে ভালো ফলাফল পেতে হয়। ওরা সত্যিই অনেক ভালো করেছে। আমি ওদের অভিনন্দন জানাই।’
পাকিস্তান সিরিজের সংবাদ সম্মেলন হলেও এতে ঘুরে ফিরে এসেছে যুবাদের প্রসঙ্গ। মুমিনুলের বিশ্বাস এখান থেকে অন্তত ৬-৭ জন ক্রিকেটার কোনো না কোনো সময় জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি।
মুমিনুলের ভাষ্যমতে, ‘আমার কাছে মনে হয়, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওরা অনেক বেশি ক্ষুধার্ত ছিলো। আর এ দলের ইতিবাচক দিকটা হলো, ওরা গত দুই বছর ধরে একসঙ্গেই ছিলো। যে কারণে ওদের পারস্পরিক সম্পর্কটা অনেক ভালো। আর একটা বিষয় হলো, আমার কাছে এটাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন। এর চেয়ে বড় কিছু এখন আর হতে পারে না। আমার বিশ্বাস, এ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দল অন্তত ৬-৭ ভালো ক্রিকেটার পাবে।’