রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশকে শাসন করছেন বাবর

ছবি: ছবিঃ পিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করেছেন বাবর আজম। পাকিস্তানের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। তাঁর ব্যাটে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে অল আউট করে দিয়ে আলোক স্বল্পতার কারণে প্রথম দিন ব্যাটিংয়ে নামতে পারেনি পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের।
শুরুতেই ফিরে যান পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলী। তরুণ এই ওপেনার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। আবু জায়েদ রাহির বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
আবিদকে হারানোর পর আরেক ওপেনার শান মাসুদের সঙ্গে হাল ধরেন অধিনায়ক আজহার আলী। লম্বা সময় ধরে বোলিং করেও উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা।
এরপর ব্রেক থ্রু এনে দেন রাহি। অধিনায়ক আজহারকে ৩৪ রানে বিদায় করেন তিনি। শান-আজহার মিলে দলের রানের খাতায় যোগ করেন ৯১ রান। এরপর বাবরকে নিয়ে আবারও ইনিংস মেরামত করেন শান।

দুজনের কেউই বাংলাদেশের বোলারদের পাত্তা দেননি। মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির আগে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি তারা। বিরতির পর উইকেট তুলে নেয়ার দুইবার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে।
শুরুতে বেশ কয়েকটি ডট বল খেললেও বড় শট খেলে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন বাবর আজম। এরপর তাইজুল ইসলামের বলে মিড অফে বেশ ওপরে উঠা ক্যাচ হাতে জমাতে ব্যর্থ হন এবাদত হোসেন। জীবন পেয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি।
জীবন পেয়েছেন শান মাসুদও। রুবেল হোসেনের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে বেঁচে যান শান। বল যে পাকিস্তানের বাঁহাতির ব্যাটসম্যানের ব্যাট ছুঁয়ে এসেছে সেটা বুঝতেই পারেননি বাংলাদেশের বোলার এবং উইকেটরক্ষক।
এরপর ১৫৭ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেন শান। সেঞ্চুরির পর তাকে আর রান বাড়াতে দেননি তাইজুল। সোজা বোল্ড করে শানকে ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনার।
তৃতীয় সেশনের শুরুতেই বাংলাদেশের করা ২৩৩ রানকে ছাড়িয়ে যায় পাকিস্তান। এরপর আসাদ শফিককে নিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর আজম। তিনি ১৩৪ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল ফিগারে পৌঁছান। দিনের শেষ পর্যন্ত বাবর ১৪৩ এবং আসাদ ৬০ রান করে অপরাজিত আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসঃ ২৩৩/১০ (৮২.৫ ওভার)
(মিঠুন ৬৩, শান্ত ৪৪, লিটন ৩৩; আফ্রিদি ৪/৫৩, আব্বাস ২/১৯)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংসঃ ৩৪২/৩ (৮৭.৫ ওভার)
(বাবর ১৪৩*, শফিক ৬০*; রাহি ২/৬৬)