পারবেন তো বাংলাদেশের বোলাররা?

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। আলোক স্বল্পতার কারণে প্রথম দিন বোলিংয়ের সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। টাইগার বোলাররা কি দেশের বাইরে নিজেদের উন্নতির সাক্ষর রাখতে পারবেন?
দেশের বাইরে কন্ডিশন উপযোগী না থাকায় বরাবরই বাংলাদেশের বোলারদের পারফরম্যান্স থাকে গড়পড়তা। এবার পাকিস্তান সফরে নিজেদের খোলস থেকে বেরুনোর পালা বাংলাদেশের বোলারদের।
গত এক দশক ধরেই বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন সাকিব আল হাসান। এই অলরাউন্ডার আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় আছেন ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে।

সাকিবের অবর্তমানে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের বর্তমান বোলারদের মধ্যে অন্যতম অভিজ্ঞ বোলারও তিনি। গত বছরের শেষ দিকে ভারত সফরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই বাঁহাতি স্পিনার।
স্পিনের মতো বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণও খুব বেশি ক্ষুরধার নয়। যদিও স্পিনাররা দেশের মাটিতে ভালো করলেও দেশের বাইরে তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের নেতা তাইজুলের টেস্ট পারফরম্যান্স দিয়েই এটা বিবেচনা করা যেতে পারে।
এই বাঁহাতি স্পিনার ঘরের মাঠে ১৮ টেস্টে ২৭.০৪ গড়ে ৮৭ উইকেট নিয়েছেন। আর দেশের বাইরে ৯ টেস্টে ৫৯.০৫ গড়ে তাইজুল নিয়েছেন মাত্র ১৯ উইকেট। বাংলাদেশের বোলারদের বিদেশের মাটিতে সাফল্যের জন্য লাইন লেন্থ বজায় রেখে বোলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
তিনি বলেছেন, 'আমি মনে করি, তারা যখন দেশের বাইরে খেলবে তাদের ঠিক জায়গায় বোলিং করা উচিত। কারণ তারা সেখানে দেশের উইকেটের মতো সহায়তা পাবে না। আমাদের দেশে একজন স্পিনার যথাযথ ফ্লাইট এবং লুপ না পেলেও টিকে যায়। কারণ উইকেটের স্লো এবং লো বাউন্স তাদের সফলতায় বড় ভূমিকা পালন করে।'
বাংলাদেশের টেস্ট দলের আরেক স্পিনার নাঈম হাসান এখন পর্যন্ত চারটি টেস্ট খেলেছেন। এর মধ্যে তিনটিই ঘরের মাঠে খেলেছেন তিনি। ভারত সফরে একটি টেস্টে সুযোগ পেলেও ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এই স্পিনার। এর ফলে তার বোলিং করা হয়নি। তার দখলে রয়েছে ১০টি উইকেট। যদিও দেশের বাইরে নিজেকে এখনও প্রমাণের বাকি রয়েছে তার।
চলতি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশ তিন পেসার খেলাচ্ছে। অভিজ্ঞ রুবেল হোসেনের সঙ্গে আছেন আবু জায়েদ রাহি এবং এবাদত হোসেন। সর্বশেষ ভারত সফরে রুবেল না থাকলেও নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি রাহি-এবাদতরা। পাকিস্তান সফর তাদের জন্য একটি সুযোগও বটে। তাদের ভালো করার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের আরেক নামি কোচ সারোয়ার ইমরান।
তিনি বলেছেন, 'আমাদের পেস বোলারদের পরিকল্পনা ও সম্পাদনের অভাব রয়েছে। পর্যাপ্ত গতির অভাবে তারা দেশের বাইরে ভালো করতে পারছে না। এ কারণে তারা ব্যাটসম্যানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারছে না। তাদের বুঝতে হবে দেশের বাইরে ফুলার বা শর্টার লেন্থের বল অকার্যকর হয়ে পড়বে। তাদের ব্যাক অব দ্য লেন্থে বল করা উচিত। তবে মনে হয় না তারা এটার গুরুত্ব বুঝে।'