পরিবারকে বোঝানো কঠিন ছিলঃ মাহমুদউল্লাহ

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তান সফর থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিম। পরিবারের সদস্যদের অমতে দলের সঙ্গে সফরে রাজি হননি তিনি। একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
নিরাপত্তা ইস্যুতে সফরের ব্যাপারে দোটানায় ছিলেন তিনি। এরপরেও দল এবং দেশের কথা চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত রাজি হতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু পরিবারকে বুঝিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া কতটা কঠিন ছিল, দেশ ছাড়ার আগে সেটাই জানিয়েছেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'প্রথমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া অবশ্যই কঠিন ছিল। কারণ আমার পরিবারও উদ্বিগ্ন ছিল। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা পরে রাজি হয়েছে। এদিক থেকে আমি কিছুটা নিশ্চিন্ত কারণ তারা খুব বেশি দুশ্চিন্তা করবে না। কারণ পাকিস্তান আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দিচ্ছে।'
অবশ্য মুশফিকের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থনই দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, 'মুশির সিদ্ধান্ত আমিও সমর্থন করি। পরিবারের একটা ইস্যু থাকে সবসময়। পরিবারের চাইতে বড় ইস্যু কোনও ক্রিকেটারের বা কোনও সাধারণ মানুষের হতে পারে না। মুশফিকের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে।'
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ২২ জানুয়ারি (বুধবার) পাকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন দলটি ২৪ জানুয়ারি প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে। এরপর দুই এবং তিন নম্বর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২৫ এবং ২৭ জানুয়ারি। সবগুলো ম্যাচের ভেন্যু লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম।