'ইমরুলের দুর্বলতা ইয়র্কার'

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্বপ্নের ফর্মে আছেন ইমরুল কায়েস। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দারুণ এক ইনিংসে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে জিতিয়েছেন তিনি। এর ফলে রাজশাহী রয়্যালসের দেয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য ৯ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে চট্টগ্রাম।
ইমরুল বরাবরই ইয়র্কার লেন্থের বলে দুর্বল। সেই অনুযায়ী বল করেও সফল হতে পারেনি রাজশাহী রয়্যালস। ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর মাহমুদউল্লাহ ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের সঙ্গে ছোট ছোট দুটি জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন ইমরুল। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৪১ বলে ৬৭ রান করে।

রাজশাহীর পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি জানিয়েছেন, সবসময় ব্যাটসম্যানদের দুর্বল জায়গায় বল করে সফল হওয়া যায় না। ইমরুলের বেলায়ও তাই হয়েছে। ব্যাটসম্যান যখন কোনো বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফেলেন, তখন বোলারের আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে যায় বলে মনে করেন রাব্বি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি একটা ব্যাটসম্যানের দুর্বল জায়গায় বল করলাম, কিন্তু আমি যে সব সময় সফল হব এমন তো না। সেখানে ব্যাটসম্যানের সাফল্যও পাওয়ার সুযোগ থাকে। যেমন আমি ইয়র্কার চেষ্টা করেছি। কারণ আমি জানি এটা ইমরুল ভাইয়ের দুর্বল জায়গা। আমি ইয়র্কার চেষ্টা করলাম বলটা ফুল্টস ওর হাফভলি হয়ে গেল। সে ক্ষেত্রে আমি বাউন্ডারি খেয়ে গেলাম। তখন আমার আত্মবিশ্বাস নিচে থাকে।'
ওভারের শুরুতে বাউন্ডারি হয়ে গেলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে বোলারদের জন্য। সে সময় ভিন্ন পরিকল্পনায় এগোতে হয় বলে মনে করেন রাব্বি। প্রতিটি ব্যাটসম্যানেরই দুর্বল জায়গা থাকে। অনেক সময় নিজেদের প্রিয় শট খেলত?? গিয়েও ব্যাটসম্যানরা আউট হন। সেই সুযোগটাই নিতে হয় বোলারদের।
রাব্বি বলেছেন, 'আমি কিন্তু চাইলেই পারব না পারের বলটা আবার ইয়র্কার চেষ্টা করতে। ওভারের প্রথম বল বা দ্বিতীয় বল একটা বাউন্ডারি হয়ে গেছে। তখন কিন্তু আমার ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। তখন অন্য পরিকল্পনায় যেতে হয়। এইরকম আর কি। দুর্বল জায়গা সবারই থাকে। অনেক সময় ইমরুল ভাই যেই শট ভালো খেলে সেটা মারতে গিয়েও আউট হতে পারে।'