promotional_ad

চট্টগ্রামের পর শেষ চারে রাজশাহী রয়্যালসও

ছবি- বিসিবি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


বোলারদের পর ব্যাটসম্যানদের দারুণ পারফরম্যান্সে সিলেট থান্ডারকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। এই ম্যাচ জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই প্লে অফ নিশ্চিত করেছেন লিটন দাস, আফিফ হোসেন, আন্দ্রে রাসেলরা। টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত করল রাজশাহী। এর আগে দিনের প্রথম খেলায় খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে পয়ে??্ট টেবিলে এখন পর্যন্ত সবার শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী।


সিলেটে টস জিতে প্রথমবারের মতো কোনো দল আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। আগে ব্যাটিংয় করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারেননি আন্দ্রে ফ্লেচারের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে দলটি। মাঝারি এই লক্ষ্যে ৬ উইকেট এবং ২৯ বল হাতে রেখেই পৌঁছে যায় রাজশাহী।


রান তাড়ায় দলকে দারুণ শুরু এনে দেন রাজশাহী রয়্যালসের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং আফিফ হোসেন। ইনিংসের শুরু থেকেই সিলেটের বোলারদের ওপর আক্রমণ চালাতে থাকেন লিটন, অপর প্রান্তে কিছুটা মন্থর ছিলেন আফিফ। পাওয়ার প্লে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।


টুর্নামেন্টে ষষ্ঠবারের মতো পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়েছে রাজশাহীর ওপেনাররা। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এই দুইজনের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন শেরফানে রাদারফোর্ড। এলবিডাব্লিউর আবেদন করলে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন রাদারফোর্ড, পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় আম্পায়ারকে। ২০ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৩৬ রান করেন ডানহাতি লিটন।


লিটন বিদায় নিলেও দুর্দান্ত ব্যাটিংশৈলী দেখিয়ে টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি দিকে এগোচ্ছিলেন বাঁহাতি আফিফ। কিন্তু রান আউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হয় দারুণ ফর্মে থাকা রাজশাহীর এই ওপেনারকে।



promotional_ad

৩০ বলে ৮ চারে ৪৬ রান করে আউট হন তিনি। দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক মালিক। শেষের দিকে এসে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২২ বলে ২৭ করে আউট হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এর আগে ইরফান শুক্কুর ৯ বলে ১০ করে আউট হয়েছেন। মোহাম্মদ নাওয়াজ শেষের দিকে ৭ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।


সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাদারফোর্ড।


আগে ব্যাট করতে নেমে দলকে সাবধানী শুরু এনে দেন সিলেটের দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ এবং আন্দ্রে ফ্লেচার। কিন্তু এই দুই জনের জুটি বড় হতে দেননি রাজশাহীর পেসার আবু জায়েদ রাহী।


মজিদকে ব্যক্তিগত ১৬ রানে বোল্ড করে ফেরান এই পেসার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান জনসন চার্লসও। তিনি মাত্র ৮ রান করে মোহাম্মদ ইরফানের বলে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুরের হাতে।


দ্রুত দুই উইকেট পড়ায় মন্থর হয়ে পড়ে সিলেটের রানের চাকা। ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করতে হয় ফ্লেচারকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে ২৫ রানে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ভালো একটি জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং শেরফানে রাদারফোর্ড। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন ৪৭ রান করা মিঠুন, ভাঙ্গে এই দুইজনের ৪৭ রানের জুটি।


১৭তম ওভারে বোলিং করতে এসে সোহাগ গাজী (০) এবং রাদারফোর্ডকে ফেরান (২৫) রাজশাহীর লেগ স্পিনার অলক কাপালী। শেষ দিকে নাজমুল হোসেন ১৩ এবং দেলোয়ার হোসেন ২ রান করে অপরাজিত থাকেন।



রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন অলক কাপালি, একটি করে উইকেট পান ইরফান এবং রাহি।


সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ


সিলেট থান্ডারঃ ২০ ওভারে ১৪৩/৬ (ফ্লেচার ২৫, মিঠুন ৪৭, রাদারফোর্ড ২৫; কাপালী ২/১৪)।


রাজশাহী রয়্যালসঃ ২০ ওভারে ১৪৫/৪ (আফিফ ৪৬, লিটন ৩৬; দেলোয়ার ২/১১)।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball