প্রত্যাশিত স্কোয়াড পাননি গিবস

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয় ১৭ নভেম্বর। সে সময় সিলেট থান্ডারের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় সারোয়ার ইমরানকে। কিন্তু ড্রাফটের পরই দলটির কোচ বদলে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার হার্শেল গিবসকে করা হয় প্রধান কোচ।
স্কোয়াড তৈরির পর কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন গিবস। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সিলেট থান্ডারের প্রধান কোচ জানিয়েছেন, তিনি প্রত্যাশিত স্কোয়াড পাননি। মূলত একটি হস্তান্তরিত স্কোয়াড পেয়েছেন তিনি। ড্রাফটে তিনি থাকলে দুজন করে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবং পেসার নিতেন।

এ প্রসঙ্গে গিবস বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি ড্রাফটের সময় ছিলাম না। আমি মূলত তৈরি করা একটি স্কোয়াড পেয়েছি। আমি যদি সেখানে থাকতাম তবে দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, দুজন বাঁহাতি পেসার নিতাম। আমাকে শুধু স্কোয়াডটা দেওয়া হয়েছে, কোচ হিসেবে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার কোনো রসদ আমার কাছে নেই।’
সিলেট থান্ডারের ব্যাটিং অর্ডারে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ছড়াছড়ি। অন্তত দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকলে প্রতিপক্ষ বোলারদের পরীক্ষা নিতে পারতো সিলেট থান্ডার। এমনই ধারণা গিবসের। এটা না হওয়ায় কিছুটা হতাশ সাবেক এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।
তিনি বলেছেন, ‘ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কম্বিনেশন প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণকে সমস্যায় ফেলতো, কিন্তু আমরা সেটা পারছি না। একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছাড়া এমন স্কোয়াড আমি খুব কম দেখেছি। মান বজায় রাখা স্কোয়াডের উপরের সারির ব্যাটসম্যানের অন্তত দুজন বাঁহাতি লাগবেই প্রতিপক্ষের জন্য চাপ তৈরিতে। কিন্তু আমার কাছে তেমন কিছু নেই।’
পছন্দের মতো স্কোয়াড না পেলেও ক্রিকেটাররা যদি ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে খেলতে পারেন এবং শুরুর দিকে বড় জুটি গড়তে পারেন তাহলে এই স্কোয়াড নিয়েও ভালো কিছু করা সম্ভব বলে মনে করেন গিবস। সেই সঙ্গে কোয়ালিটি স্পিনারের অভাব বোধ করছেন এই প্রোটিয়া কোচ।
গিবস বলেছেন, ‘উইকেট খুবই ভালো তবে যদি কোয়ালিটি স্পিনার থাকতো তারা বেশ দক্ষতার সাথে সামলাতে পারতো লাইন-লেংথ ঠিক রেখে। দিনশেষে আপনার সামর্থ্য প্রমাণ করতে হবে সৃষ্টিশীলতা দিয়েই। এসব জায়গায় বেশ উন্নতি করতে হবে। অনেক স্পিনারই আছে যাদের কাছে উইকেট ফ্যাক্টর না।’