চার্লস-মিঠুনের ব্যাটিং তাণ্ডবে সিলেটের বড় সংগ্রহ
ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ১৯তম ম্যাচে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন জনসন চার্লস। ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে মাত্র ৪৫ বলে ৭৩ রানের বিস্ফোরক একটি ইনিংস খেলেন সিলেট থান্ডারের এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। যেখানে ৮টি ছক্কা এবং ৩টি চার মারেন তিনি।
চার্লসের এই ব্যাটিং তান্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সিলেট। চার্লস ছাড়াও দারুণ ব্যাটিং করেন জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। ৪ ছক্কা এবং এক চারের সাহায্যে ৩১ বলে অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আর তাঁর সঙ্গী শিরফানে রাদারফোর্ড ২৮ বলে ৩৮ রান করেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ব্যাটিংয়ে নামার পর শুরুতেই বিপদে পড়তে হয় সিলেটকে। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারকে নিজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান ডানহাতি স্পিনার মেহেদি হাসান। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় এই ক্যারিবিয়ানকে।

মাত্র এক রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন জনসন চার্লস। এরপর মেহেদি হাসানের বলে প্রথমেই ক্যাচ তোলেন তিনি। কিন্তু তাঁর ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন পাকিস্তানি আসিফ আলী। শূন্য রানে জীবন পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ব্যাটিং তাণ্ডব চালানো শুরু করেন।
চার ছক্কার ফুলঝুরিতে ঢাকার বোলারদের পরীক্ষা নিতে থাকেন তিনি। একই সঙ্গে আব্দুল মজিদকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন চার্লস। সাত নম্বর ওভারে বোলিংয়ে এসে মজিদকে মেহেদি হাসানের হাত ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন ঢাকার পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
৮ রান করে মজিদ বিদায় নিলে দারুণ ব্যাটিং করে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন চার্লস। ৫ ছয় এবং ৩ চারের সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। এরপর অবশ্য বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ইনিংসের ১১তম ওভারে সাদাব খানের বলে আসিফ আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
চার্লসের পর দ্রুত বিদায় নিতে হয় অধিনায়ক মোসাদ্দেককেও। মাত্র ২ রান করে শহীদ আফ্রিদির বলে সাদাব খানের হাত ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে পঞ্চম উইকেটে শিরফানে রাদাফোর্ডের সঙ্গে ৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন মিঠুন। এই জুটি গড়ার পথে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
সিলেট থান্ডারঃ ১৭৪/৪ (২০ ওভার) (চার্লস ৭৩, মিঠুন ৪৯*; সাদাব ১/২৩, আফ্রিদি ২/২৬)