বাজে আম্পারিংয়ের দৃষ্টান্ত তৈরি করল বিপিএল

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
আম্পায়ারদের বাজে সিদ্ধান্তের সাক্ষী হলো চলমান বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিবিপিএল)। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স এবং ঢাকা প্লাটুনের মধ্যকার ম্যাচে বাজে আম্পায়ারিংয়ের দৃষ্টান্ত তৈরি হয়। কুমিল্লার ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকশের আউট নিয়ে দুই মিনিটের মতো খেলা বন্ধ রাখেন আম্পায়াররা।
ঢাকার পেসার ওয়াহাব রিয়াজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ২০ রানে থাকা রাজাপাকশে রাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হন। প্রথমে আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন এবং রাজাপাকশে মাঠ ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে তৃতীয় আম্পায়ার মোরশেদ আলী খান বলটি নো বলের সংকেত দেন।
এরই মাঝে রাজাপাকশে মাঠ ছেড়ে সাজঘরে ফিরে যান। প্যাড প্রায় খুলে ফেলার অবস্থায় থাকা শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে আবারো ডেকে পাঠানো হয়। এমনকি সে সময় পরবর্তী ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী চৌধুরীও ব্যাট নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন।

নিয়ম অনুযায়ী আউট নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত রিজার্ভ আম্পায়ার ব্যাটসম্যানকে মাঠে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু এই ম্যাচের রিজার্ভ আম্পায়ার মনিরুজ্জামান কোনো ধরণের নির্দেশনা দেননি রাজাপাকশেকে। আউট সিদ্ধান্তে মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানকে আবার নট আউট সিদ্ধান্তে ডেকে এনে অদ্ভুত নজির তৈরি করেছেন আম্পায়ার গাজী সোহেল এবং প্রাগিথ রামবুকয়েলা।
আম্পায়ারদের এমন ঘটনায় হতাশ দেখে গেছে ঢাকা প্লাটুনের সবাইকে। মাঠে দায়িত্বরত আম্পায়ারদের সঙ্গে তো কথার যুদ্ধে প্রায় জড়িয়েই পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। ঢাকার কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকেও দেখা গেছে বেশ হতাশ অবস্থায়।
এভাবে মাঠ ছাড়া ব্যাটসম্যানদের আবারো ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেয়া নিয়ে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন। এমন নিয়ম আছে বলে পরিষ্কার করেন বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান।।
তিনি বলেন, 'ব্যাটসম্যান মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়া কোনো বিষয় না। আম্পায়াররা যদি মনে করেন ব্যাটসম্যান আউট হয়নি, তখন তাকে পরবর্তী বলের আগে ডেকে আনতেই পারেন। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারদের আরও সতর্ক হতে এবং নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যাটসম্যানকে মাঠে রাখা উচিত।'
২০ রানে জীবন পাওয়া রাজাপাকশে শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর এই ইনিংসে ভর করে ১৬০ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।