মেহেদীর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ঢাকার তৃতীয় জয়

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের পর ব্যাট হাতেও অসাধারণ ছিলেন তরুণ মেহেদী হাসান। তাঁর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে কুমিল্লাকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিবিপিএল) নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা প্লাটুন।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করে রাজাপাকশের দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিতে ১৬০ রানের পুঁজি দাঁড় করায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। লক্ষ্য তাড়ায় মেহেদীর বিধ্বংসী হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট এবং ১ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা।
রান তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল ঢাকা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ০ রানে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার এনামুল হক বিজয়। এরপর তিনে নেমে কুমিল্লার বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান ডানহাতি ব্যাটসম্যান মেহেদী। স্পিনার রবিউল ইসলামের ৪ ছক্কা এবং ১ চারে ২৮ রান নেন তিনি। ২২ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অভিষেক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া এই ব্যাটসম্যান ২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন আল আমিন হোসেনের বলে। ২ চার এবং ৭ ছক্কায় নিজের ইনিংসকে সাজিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর বিদায়ের পর দ্রুত দুই উইকেট হারায় ঢাকা প্লাটুন। এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ঢাকাকে চেপে ধরেন মুজিব উর রহমান। ৮ বলে ৩ উইকেট হারানো ঢাকার হাল ধরে ওপেনার তামিম ইকবাল এবং পাঁচে নামা মুমিনুল হক।
এই দুইজনের ৩৪ রানের জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। উইকেটে থিতু হওয়া তামিম ৪০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। কিছুটা চাপে পড়ে ঢাকা। কিন্তু সেখান থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মুমিনুল এবং আফ্রিদি। মুমিনুল ২৬ বলে ২৮ এবং আফ্রিদি ১৬ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

কুমিল্লার হয়ে দারুণ বোলিং করে ২২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলেন নেন মুজিব। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন আল আমিন এবং সৌম্য সরকার।
এর আগে ভানুকা রাজাপাকশের ৯৬ রানের ইনিংসে ঢাকা প্লাটুনকে ১৬১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় কুমিল্লা। তবে ইনিংসের শুরুতে কুমিল্লাকে চেপে ধরেন ঢাকার স্পিনার মেহেদী।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকারকে ১০ রানে বোল্ড করে ফেরান তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে তিনে নামা সাব্বির রহমানকে ০ রানে আউট করেন তিনি।
৩৩ রানে ২ উইকেট হারানো কুমিল্লার হাল ধরার চেষ্টা চালান ওপেনার রাজাপাকশে এবং ডেভিড মালান। কিন্তু বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ৯ রান করে সাদাব খানের বলে আউট হন তিনি। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রাজাপাকশে। ২০ রানে ওয়াহাব রিয়াজের নো বলে জীবন পেয়েছিলেন লঙ্কান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
মালানের বিদায়ের পর রাজাপাকশেকে সঙ্গ দেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। দুইজনে ১০৩ রানের জুটি গড়ে দলকে ১৬০ রানের পুঁজি এনে দেন। রাজাপাকশে ৬৪ বলে ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ইয়াসির আলী ২৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ঢাকার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে ২ উইকেট তুলে নেন মেহেদী। চার ওভার বল করে মাত্র ৯ রান দিয়েছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সঃ ২০ ওভারে ১৬০/৩ (রাজাপাকশে ৯৬* ইয়াসির ৩০*; মেহেদী ২/৯, সাদাব ১/৩২)।
ঢাকা প্লাটুনঃ ১৯.৫ ওভারে ১৬১/৫ (মেহেদী ৫৯, তামিম ৩৪; মুজিব ২/২২, আল আমিন ১/২৭)।