পাপনের সঙ্গে একমত নন সুজন

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
'দক্ষতায় বিদেশি কোচের তুলনায় বাংলাদেশিরা পিছিয়ে', বলেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিন্তু বোর্ড সভাপতির এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দেশীয়দের পছন্দ নয় বিসিবির। এমনকি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিবিপিএল) প্রাধান্য পাননি দেশি কোচরা। কিন্তু সুজন মনে করেন, দক্ষতায় এখন অনেক বেশি এগিয়ে বাংলাদেশের কোচরা।

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সুজন বলেন, 'পাপন ভাই কেন বলেছেন আমি জানি না। তবে আমি মনে করি না দক্ষতার দিক থেকে আমাদের কোচরা পিছিয়ে আছে। ক্রিকেট আসলে নির্দিষ্ট টেকনিক্যাল একটা খেলা। এটাতে কাভার ড্রাইভ, স্কয়ার কাট যখন মারবে, একই টেকনিকে সব ব্যাটসম্যান মারে। কেউ কিন্তু অন্যভাবে মারতে পারবে না, এটা কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না।
হতে পারে উনি হয়ত বোঝাতে চেয়েছেন কাগজে কলমে আমরা হয়ত পিছিয়ে আছি। হতে পারে খেলার পরিকল্পনায়। সেখানে কিন্তু আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। দক্ষতার দিক থেকে আমি মনে করি না আমাদের কেউ পিছিয়ে আছে। আমাদের দক্ষতা জানা আছে, সুযোগ পাচ্ছি না আমরা।'
চান্দিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। সেই সময় চার মাস জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর স্টিভ রোডসের বিদায়ের পর আবারোও তাঁকে প্রধান কোচ করে শ্রীলঙ্কা সফরে পাঠানো হয়।
এভাবে স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব দিয়ে কোনো কোচ থেকেই সেরাটা বের করে আনা সম্ভব নয় বলে জানা সুজন। তাঁর মতে, প্রতিটি কোচকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া উচিত।
সুজনের ভাষ্য, 'আপনি একটা কোচকে কীভাবে বিচার করবেন? আপনি তো একটা সিরিজ দিয়ে বিচার করতে পারেন না। বাংলাদেশ টিম যদি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলে আপনি কি একটা কোচকে বিচার করতে পারবেন? একটা সময় ধরে কাজ করার পর আপনি বিচার করতে পারবেন। টিম কেমন, কাদের বিপক্ষে খেলছেন, কী পরিকল্পনা, কোন কন্ডিশনে খেলছেন; সবকিছুই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোচের জন্য। একজন কোচ নিয়োগ দিয়ে তার ওপর বিশ্বাস রাখাটা খুব জরুরী এবং তাকে সে সময়টা দেয়া উচিত।'