রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থানে পাকিস্তান

ছবি: ছবি- টুইটার

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০০৯ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। সেই হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। এরপর থেকে পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে অপরাগতা প্রকাশ করে আসছিল তারা। অবশেষে দীর্ঘ ১০ বছর পর পাকিস্তানে খেলতে রাজি হয়েছে শ্রীলঙ্কা।
এই সফরে দুটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলবে দলটি। যার প্রথমটি শুরু হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে। এই টেস্টের প্রথম দিন অবশ্য খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।পাকিস্তানের দারুণ বোলিংয়ে ৫ উইকেটে ২০২ রান নিয়ে খেলা শেষ করেছে তারা।
স্বাগতিকদের পক্ষে ৫১ রানে ২ উইকেট শিকার করেন ১৬ বছর বয়সী পেসার নাসিম শাহ। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ আব্বাস, শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং উসমান শিনওয়ারি।
ম্যাচটির শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। এরপর খেলতে নেমে ওশাডো ফার্নান্দোর সঙ্গে ৯৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন করুনারত্নে।

ইনিংসের ৩১তম ওভারে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ককে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙ্গেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১১০ বলে ৫৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন করুনারত্নে।
করুনারত্নেের বিদায়ের পর দ্রুত আউট হন আরেক ওপেনার ফার্নান্দোও। ব্যক্তিগত ৪০ রান করে নাসিম শাহর বলে হারিস সোহেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে দলীয় ১০৯ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন কুশল মেন্ডিস এবং দীনেশ চান্দিমালও। দলীয় ১২৭ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁদের। মাত্র ১০ রান করে উসমান শিনওয়ারির বলে উইকেট রক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানর হাতে ক্যাচ দেন মেন্ডিস। আর চান্দিমালকে (২) বোল্ড করেন মোহাম্মদ আব্বাস।
পঞ্চম উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তাঁদের এই জুটিটি ভাঙ্গতে সক্ষম হন নাসিম শাহ। ম্যাথুসকে ১৮৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরান তিনি। আসাদ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ৩১ রান করেন ম্যাথুস।
ম্যাথুস ফিরলে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকওয়েলাকে সঙ্গে নিয়ে বাকি দিন শেষ করেন ধনঞ্জয়া। দ্বিতীয় দিন ৩৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গী ডিকওয়েলা ব্যাটিংয়ে নামবেন ১১ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শ্রীলঙ্কা (প্রথম দিন)
প্রথম ইনিংসঃ ২০২/৫ (৬৮.১ ওভার) (করুনারত্নে ৫৯, ফার্নান্দো ৪০; নাসিম ২/৫১, শাহিন শাহ ১/৩৭)