ভয়ডরহীন ক্রিকেটের মন্ত্র শেখাচ্ছেন গিবস

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
মারকুটে ওপেনার ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় সামর্থ্যের জায়গা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট থান্ডারের কোচের দায়িত্ব পাওয়া গিবস দলের ক্রিকেটারদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিচ্ছেন ভীতিহীন ক্রিকেটের মন্ত্র।
প্রথমবারের মতো কোনো দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন গিবস। ইতোমধ্যে সিলেট থান্ডারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। দল নিয়ে অনুশীলনের কাজও শুরু করে দিয়েছেন সাবেক এই তারকা প্রোটিয়া ক্রিকেটার।
খেলোয়াড় জীবন এবং কোচিং পেশা; দুটোর মধ্যে তেমন পার্থক্য খুঁজে পান না গিবস। জানিয়েছেন, এখনও নিজের মধ্যে আগের সেই স্পৃহা অনুভব করেন তিনি। যা সিলেটের ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান গিবস।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মিরপুরের একাডেমি মাঠে দলকে নিয়ে অনুশীলন শেষে গিবস বলেন, ‘কোনো পার্থক্য নেই। আমি অনেক কর্মশক্তি, আবেগ এবং দক্ষতা নিয়ে খেলেছি। যেটা আমার ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। কোচ হিসেবে দলকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা শেখাচ্ছি আমি।’
‘আমি পরবর্তী ১০ বছর খেলতে পারব। অবশ্যই মনে করি খেলার জন্য আমি এখনও তরুণ। এমন অনেক লিগ শুরু হয়েছে, যেখানে বিশেষ করে এরকম ক্রিকেটার খোঁজে।’ যোগ করেন তিনি।
তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজিয়েছে সিলেট। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে দেয়া হয়েছে দলটির অধিনায়কত্ব। এই দল নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত কোচ গিবস।
তিনি বলেন, ‘এমন মঞ্চ আমি উপভোগ করি। আমার দলে অনেক ক্রিকেটার আছে যারা এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি। এটা তাদের জন্য বড় মঞ্চ। আমি আগামী কয়েক সপ্তাহ তাদেরকে আপন করার চেষ্টা করব এবং তাদেরকে নিজের প্রতিভার ওপর বিশ্বাস অর্জন করাব। এই টুর্নামেন্টে অনেক বড় বড় নাম রয়েছে এবং এখানের চ্যালেঞ্জটা খুবই ভালো।’
১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের বিশেষ এই আসর। প্রথম ম্যাচেই খেলতে নামবে গিবসের দল। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে সিলেট থান্ডার।