বিপিএলে ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করলেন জামশেদ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ম্যাচ ফিক্সিং এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের উদ্দেশ্যে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের এক আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
তদন্তে উঠে এসেছে বিপিএলেও দুইবার ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। যদিও সফল হতে পারেননি জামশেদ। ২০১৬ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলার সময় ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ব্যাটে একটি নির্দিষ্ট রঙের গ্রিপ লাগিয়ে মাঠে নামার কথা ছিল তাঁর। যদিও সেই শর্ত পূরণ করতে পারেননি এই পাকিস্তানি।

একই আসরে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের কথা ছিল তাঁর। তবে একাদশ থেকে বাদ পড়ায় সেবারও সফল হতে পারেননি জামশেদ। এই দুই ম্যাচেই ফিক্সিংয়ের জন্য অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের এই পরিকল্পনায় জামশেদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইউসুফ আনোয়ার ও মোহাম্মদ ইজাজ।
দুজনই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। বিপিএলে টাকা নিয়ে ফিক্সিং করে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৭ পিএসএলে পরিকল্পিত ভাবে ফিক্সিং করতে পারেন জামশেদ। সেবার ইসলামবাদ ইউনাইটেড ও পেশোয়ার জালমির একটা ম্যাচে তাঁর সঙ্গে শর্ত ছিল প্রথম দুই বলে কোনো রান করতে পারবেন না তিনি। এটাই করে দেখিয়েছিলেন জামশেদ।
ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আটক হওয়া ইউসুফ আনোয়ার জবানবন্দিতে বলেছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত তিনি। এমনকি ২০১৬ বিপিএলে ৬ জন ক্রিকেটার ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে আটক হন জামশেদ। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইংল্যান্ডের আদালত। গত বছর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাঁকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিভিন্ন অভিযোগে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়।
প্রথমে সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সব দোষ স্বীকার করে নিজের জবানবন্দি দেন জামশেদ। ফিক্সিংয়ের জন্য সতীর্থকে ঘুষ দেয়া এবং নিজে অন্যদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগ স্বীকার করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফিক্সিংয়ের ঘটনায় আটক দুই ব্রিটিশ নাগরিক জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে বাজে পারফরম্যান্স করেছেন জামশেদ।