মাঠের আম্পায়ারদের ব??তর্ক থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে আইসিসি

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। মাঠের আম্পায়ারদের কাজ কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি বিতর্ক থেকে বাঁচিয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। পায়ের 'নো' বলের সিদ্ধান্ত দেয়ার দায়িত্ব তৃতীয় আম্পায়ারকে দিচ্ছে আইসিসি।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই নিয়মটি চালু করা হবে, আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে এখনই ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে এই নিয়ম চালু হচ্ছে না। কেবল টি-টোয়েন্টিতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হচ্ছে এই নিয়ম।

আইসিসি এক বিবৃতিতে জানায়, 'এখন পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে নতুন এই নিয়ম। বোলারের প্রত্যেকটি বলের ওপর তৃতীয় আম্পায়ার টিভিতে নজর রাখবেন। আর বোলারের পায়ের নো বলের দিকে নজরটাও তারাই রাখবেন।
তৃতীয় আম্পায়ার যদি দেখতে পান ফ্রন্টফুট নো বল হয়েছে, তা হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারকে জানিয়ে দিবেন। আর এরপর টিভি স্ক্রিনে বলটি দেখা তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠের আম্পায়ার পরে নো বল ডাকবেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছাড়া মাঠের আম্পায়াররা নো বল ডাকতে পারবেন না।'
মাঠের আম্পায়াদের পায়ের নো বল না দেয়া নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই ক্রিকেট পাড়ায়। আম্পায়ারদের বিতর্ক থেকে বাঁচাতে তৃতীয় আম্পায়ারকে দায়িত্বটি দিচ্ছে আইসিসি।
যদিও অনেক সময় প্রযুক্তিও শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারে না। এমন পরিস্থিতির জন্যও প্রস্তুত রয়েছে আইসিসি। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও পায়ের নো বল বোঝা না গেলে তাহলে সেটা নো বল বিবেচিত হবে না বলে জানায় আইসিসি। তারা বলে, ‘যদি পায়ের নো বল নিয়ে কোনো প্রকার সন্দেহ থাকে তাহলে নো বল ডাকা হবে না।‘
গত আগস্টে আইসিসি সিদ্ধান্ত নেয়, নো বল ডাকার ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচে এই নিয়ম ব্যবহার হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি সুপারিশ করে, আরও কম ওভারের ক্রিকেটে এই নিয়ম ব্যবহার করার জন্য।