না ফেরার দেশে কিংবদন্তি বব উইলিস

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক, কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার এবং ধারাভাষ্যকার বব উইলিস। ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) ৭০ বছর বয়সে গলার গ্রন্থির ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মেনে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।
১৯৭১ সালে অভিষেক হওয়া এই পেসার ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরাদের একজন। সেই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের জবাব বলা হতো উইলিসকে। ১৯৮৪ সালে অবসর নেয়া ডানহাতি এই পেসার ক্যারিয়ারে ৯০ টেস্ট এবং ৬৪ ওয়ানডে খেলেছেন।
টেস্টে ৩২৫ উইকেট এবং ওয়ানডেতে ৮০ উইকেট রয়েছে তাঁর নামের পাশে। তখন উইলিস ছিলেন ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। সব মিলিয়ে ডেনিস লিলির পর দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তিনি।
জেমস অ্যান্ডারসন (৫৭৫), স্টুয়ার্ট ব্রড(৪৭১) ও ইয়ান বোথামের (৩৮৩) পর টেস্টে ইংল্যান্ডের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবে জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন উইলিস।

তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত চোখ বন্ধ করেই বলা যায়, ১৯৮১ সালের অ্যাশেজের হেডিংলি টেস্ট। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এবং স্মরণীয় একটি ম্যাচ ছিল সেটি। ইয়ান বোথামের অবিশ্বাস্য ১৪৯ রানের অসাধারণ ইনিংসের পর বিধ্বংসী বোলিং করে ইংল্যান্ডকে ১৮ রানের অবিস্মরণীয় এক জয় এনে দেন উইলিস।
সেই ইনিংসে ৪৩ রানে ৮ উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। এটাই তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্বও পালন করেছেন উইলিস। তাঁর নেতৃত্বে ১৮ টেস্ট ও ২৯ ওয়ানডে খেলেছে ইংল্যান্ড। ১৯৭৯ বিশ্বকাপ এবং ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ইংলিশদের অধিনায়ক ছিলেন উইলিস।
খেলোয়াড়ি জীবনে বেশ কয়েকবার চোটের ছোবল সহ্য করতে হয়েছে ইংল্যান্ডের সাবেক এ অধিনায়ককে। ১৯৭৫ সালে ২৬ বছর বয়সেই দুই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে তাঁর। তবে হার মানেননি উইলিস, চোটের সঙ্গে লড়ে খেলে গেছেন অনেক দিন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০৮ ম্যাচ খেলা এই পেসার নিয়েছেন ৮৯৯ উইকেট। অবসর নেওয়ার পর ধারাভাষ্য ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবেও বেশ খ্যাতি অর্জন করেন উইলিস। মৃত্যুর আগে যুক্ত ছিলেন স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে।
তাঁর বিদায়ে সমবেদনা প্রকাশ করছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) টুইট করেছে, 'ক্রিকেট তার এক প্রিয় বন্ধুকে হারাল।' ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির টুইট, 'বব উইলিসের খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে। তার আত্মা শান্তি পাক। ভারত তাকে মিস করবে।'
ক্রিকেট জীবনের পর ধারাভাষ্যে নিজেকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছেন উইলিস। কিন্তু সব কিছু ছেড়ে জীবনকে বিদায় বলে দিয়ে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।