প্রিমিয়ার লিগে আবারও চালু হচ্ছে প্লেয়ার্স পুল পদ্ধতি
ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) আগামী আসর থেকে আবারও প্লেয়ার্স পুল পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কয়েকজন ক্রিকেটার এবং বিসিবি কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন।
৪৮ জন ক্রিকেটারকে পুলে রাখা হবে। যেখান থেকে দলগুলো চারজন করে ক্রিকেটার তাদের স্কোয়াডে ভেড়াতে পারবে। পুল পদ্ধতির এমনই ধারণা পাওয়া গেছে বিসিবি অফিসিয়ালের কাছ থেকে। তবে এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী এনাম দেশের বাইরে থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিপিএলে প্লেয়ার্স পুল পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কিন্তু এখনও কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি। আমরা সিসিডিএমের চেয়ারম্যানের অপেক্ষায় আছি, এরপর এই বিষয়ে আলোচনা হবে। যদি এটা অনুমোদন পাইম তাহলে আমরা পুল সাজাবো।’
গত অক্টোবরে ক্রিকেটারদের তোলা ১৩ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল, প্রিমিয়ার লিগের ক্রিকেটাররা নিজেদের ক্লাব এবং পারিশ্রমিক নির্ধারণ করবে। ২০১৩ সালে করা হয়েছিল প্লেয়ার্স বাই চয়েজ পদ্ধতি, যা বাদ দিতে বিসিবির কাছে দাবি জানায় ক্রিকেটার।

সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে সিসিডিএম। আসন্ন প্রিমিয়ার লিগে দলবদল পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে তারা। কিন্তু প্লেয়ার্স পুল পদ্ধতি চালু হলেও সব ক্রিকেটাররা তাদের প্রত্যাশিত পারিশ্রমিক পাবেন না।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার বলেন, ‘দেখা যায়, যে ক্রিকেটাররা দল পেয়েছে তারা নিরাপদে আছে, যারা এখনও কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেনি তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ এখন ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের শোষণ করার চেষ্টা করবে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের এক নিয়মিত পারফর্মার জানান, একটি ক্লাব তাঁর সঙ্গে চুক্তি করার কথা বললেও পরবর্তীতে তা নাকচ করে দেয়। প্লেয়ার্স পুল পদ্ধতি চালু হওয়ার গুঞ্জনের পরই এমনটা ঘটে বলে জানান সেই ক্রিকেটার।
তিনি বলেন, ‘একটি ক্লাবের অফিসিয়ালরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তারা বলেছিল আমাকে দলে নেবে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিলাম এবং তাদেরকে নগদ অর্থ দেয়ার কথা বলেছি। কিন্তু হঠাৎ সেই ক্লাবের অফিসিয়ালরা আমাকে জানায় যে তারা এখন চুক্তি করতে প্রস্তুত নয়। দলবদল পদ্ধতিতে আগে আমার পারিশ্রমিকের পর্যায় তারা যাচাই করতে চায়।’
‘আমি ১০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি এবং আমি জানি যে ক্লাবগুলো প্লেয়ার্স পুলের অপেক্ষায় আছে এবং তারা সেখান থেকে স্বল্পমূল্যে আমাদের নিতে পারবে। ওইদিক থেকে আমাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাদের আর্থিক প্রস্তাব মেনে চলতে হবে আমাদের।’ যোগ করেন তিনি।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম জানান, তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন পুল পদ্ধতির ব্যাপারে। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা (ক্লাব) ৪৮ জন ক্রিকেটার থেকে ৪ জন করে দলে নিতে পারবে। আমি বিশ্বস্ত একটি সূত্র থেকে জেনেছি যে ৪৮ জন ক্রিকেটার পুলে থাকবে।’
‘কোনো ক্লাব পুল থেকে ৪ জনের বেশি ক্রিকেটার নিতে পারবে না। কিন্তু যদি কোনো ক্রিকেটার ক্লাব না পায়, তাহলে তাকে যেকোনো ক্লাব নিতে পারবে। ইতোমধ্যে ক্লাবগুলো তাদের স্কোয়াড তৈরি করে ফেলেছে। এখনও কিছু ক্রিকেটার দল পায়নি। আমার মনে হয় তাদের পারিশ্রমিক কমাতে হবে।’ যোগ করেন তিনি।
তারিকুল আরও জানান, প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে যে ক্রিকেটার ২০ লাখ টাকায় খেলেছিল সে এবার ৫৫ লাখ টাকা চাইছে। এই ধরনের দাবি তাদেরকে শুধুমাত্র সমস্যায় ফেলবে।