টি-টোয়েন্টির ইতিহাস নতুন করে লিখলেন চাহার

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নাগপুরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন দিপক চাহার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হ্যাট্রিকের পাশাপাশি ডানহাতি এই পেসার ৭ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
এই ম্যাচের আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি ছিল শ্রীলংকার আজান্তা মেন্ডিসের দখলে। ২০১২ সালে হাম্বানটোটায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ রান খরচায় শিকার করেছিলেন ৬ উইকেট এই স্পিনার।
এই রেকর্ডে পরের নামটি ছিল মেন্ডিসেরই। পালেকেল্লেতে ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৬ রান খরচায় ডানহাতি এই স্পিনার নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। মেন্ডিসের এই রেকর্ডকে পেছনে ফেলে এবার সবার ওপরে উঠে এলেন চাহার।

২৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে চাহালের সতীর্থ যুবেন্দ্র চাহাল আছেন ৪ নম্বরে। ২০১৭ সালে ব্যাঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই তালিকায় নাম লেখান এই লেগ স্পিনার। তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন আরেক লঙ্কান।
২০১৪ সালে চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছেন রঙ্গনা হেরাথ। সেই মাত্র ৩.৩ ওভার বোলিং করে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে চাহারের হ্যাটট্রিকটি ১২তম। যদিও তিনি একাদশ খেলোয়াড় হিসেবে এই রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। কারণ শ্রীলংকার লাসিথ মালিঙ্গা হ্যাটট্রিক করেছেন ২ বার। তার প্রথম হ্যাটট্রিকটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে।
হ্যাটট্রিক শিকার করার সময় ডানহাতি এই পেসার সাজঘরে ফিরিয়েছেন শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে। ৩.২ ওভার বোলিং করে ৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৬ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বপ্রথম হ্যাটট্রিক ছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লির। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাট্রিক করেন এই ফাস্ট বোলার।
এর রেকর্ডে আরও আছেন নিউজিল্যান্ডের জেগব ওরাম এবং টিম সাউদি, আরেক লঙ্কান থিসারা পেরারা, পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ এবং মোহাম্মদ হাসনাইন, আফগানিস্তানের রশিদ খান, ওমানের খাওয়ার আলি এবং পাপুয়া নিউ গিনির নরমান ভানুয়া।