সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় ভারতের ভূমিকা নেইঃ বিসিসিআই

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে এক বছর কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন না বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। মঙ্গলবার তাঁকে এই শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
তিনটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। যার কোনোটিই আইসিসি বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) অবগত করেননি সাবেক হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের এই টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

এর মধ্যে একটি ২০১৮ সালের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি ম্যাচ। তাই প্রশ্ন উঠছিল সাকিবের নিষিদ্ধ হওয়ার পেছনে বিসিসিআইয়ের ভূমিকা রয়েছে কিনা? তবে, বিষয়টি খোলাসা করেছেন বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা বিভাগ।
দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান অজিৎ সিং মিডিয়াকে বলেন, সাকিবের নিষিদ্ধ হওয়ার পেছনে বিসিসিআইয়ের কোনো ভূমিকা নেই। বিষয়টি স্বাধীনভাবে আইসিসির দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা বিভাগ (আকসু) দেখেছে।
অজিৎ সিং বলেন, ‘আইপিএলের যে মৌসুমের ম্যাচ নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, সে মৌসুমের সকল দুর্নীতিবিরোধী বিষয়গুলো আইসিসিই দেখভাল করেছে। কোনো অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে আইসিসিই কাজ করেছে, তদন্ত করেছে। এর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
এর আগের সব মৌসুমের মতো এবারও আইসিসিকে সব তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহায়তা করেছে বিসিসিআই। অজিৎ সিং আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আমাদের তরফ থেকে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছি আইসিসিকে, কিন্তু এ বিষয়ে পুরো তদন্তটাই আইসিসি করেছে। বিসিসিআই নয়।’
নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে এক বছর ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে সাকিবকে। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের আগে মাঠে ফিরতে পারবেন না তিনি। এক বছর পর মাঠে ফিরলেও সাকিবকে আইসিসির নজরে থাকতে হবে আরও এক বছর।