টি-টোয়েন্টি বিশ্বকা?? খেলা হচ্ছে না সাকিবের

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যার ফলে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের।
প্রথম এক বছর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় থাকতে হবে সাকিবকে। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন না তিনি। পরের এক বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিতে হবে তাঁকে।

এক বছর পর খেলা চালিয়ে যেতে পারলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবেন না সাকিব। কারণ ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা উঠবে ২৯ অক্টোবর।
এ ছাড়া বিশ্বকাপ শুরুর আগেই দল ঘোষণা করতে হবে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সাকিবকে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয় বাংলাদেশের। তাই সাকিবকে ছাড়াই ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ৩টি ধারা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে সাকিবকে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই চার মাসে তিনবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আইসিসিকে কিছু জানাননি সাকিব। যে কারণে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারকে।
আইসিসির দেয়া শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছেন সাকিব। তাঁর ভাষায়, 'যে খেলাকে আমি ভালোবাসি সেই খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে খারাপ লাগছে। আমার বিপক্ষে সে অভিযোগ এসেছে সেটা গ্রহণ করে নিচ্ছি। আইসিসির আকসু সবসময়ই দুর্নীতির বিপক্ষে সোচ্চার। আমি আইসিসিকে এই ব্যাপারে কিছুই জানাইনি।'
'বেশিরভাগ ক্রিকেটার এবং ভক্তের মতো আমিও চাই ক্রিকেট দুর্নীতি মুক্ত খেলা হোক। আমি আকসুর সঙ্গে কাজ করব। তাদের শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারগুলোতে অংশ নেবো। এটা নিশ্চিত করব যে আমি ভুল করেছি সেটা যেন তরুণ ক্রিকেটাররা না করে।' যোগ করেন তিনি।