১০ বছর বলেও ইনডোরে এসি লাগেনিঃ সাকিব

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
উন্নতির সিঁড়ি ধাপে ধাপে পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। কিন্তু উন্নতির এই ধারায় দেশের ক্রিকেটের অবকাঠামো থেকে যাচ্ছে অনুন্নত। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটাররা। অনুন্নত অবকাঠামো নিয়ে এবার নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানালেন বাংলাদেশের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
কোনো বিভাগের স্টেডিয়ামেই ক্রিকেটারদের অনুশীলনের সুব্যবস্থা নেই। বাংলাদেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও পরিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা পান না ক্রিকেটাররা।
১০ বছর ধরে ক্রিকেটারদের অনেক দাবির পরও এখন পর্যন্ত মিরপুরের ইনডোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) করার উদ্যোগ নেয়নি বিসিবি। এতে অনুশীলনের সময় অল্পতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। অন্যান্য দেশের ইনডোরের সঙ্গে তুলনা করে সাকিব জানান, এই পর্যায়ে এসে মিরপুরের এমন ইনডোর সত্যিই দুঃখজনক।

দেশের শীর্ষস্থানীয় এক পত্রিকাকে সাকিব বলেছেন, ‘খুলনা, রাজশাহী, চিটাগং, সিলেটে যে স্টেডিয়ামগুলো আছে, সেখানে একটা প্রপার জিম, রানিং ট্র্যাক এবং মানসম্পন্ন ইনডোর সুবিধা গড়ে তোলা উচিত। মিরপুরে জাতীয় দলের ইনডোর সুবিধা ভালো নয়।’
‘গ্রীষ্মকালে ওখানে ১৫ মিনিটের বেশি ব্যাটিং করা যায় না, এত গরম। ১০ বছর ধরে বলার পরও মিরপুরের ইনডোরে এসি লাগেনি। আমরা যখন অন্যান্য দেশের ইনডোরগুলো দেখি, ফকফকা লাইটের আলো, এসি লাগানো। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।’
সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনার জন্য অনুন্নত অবকাঠামোকে দায়ী করেছেন সাকিব। তাঁর ভাষায়, ‘আমার কাছে মনে হয়, কাঠামোগত উন্নয়নও অনেক বেশি জরুরি। ত্রিদেশীয় সিরিজে সম্ভবত তিনবার বিদ্যুৎ চলে গেছে। এই জায়গাগুলোতে উন্নয়ন দরকার।’
মিরপুর কেন্দ্রিক না হয়ে দেশের বাকি স্টেডিয়ামগুলোতে আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়জনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন সাকিব। এতে ভেন্যুগুলোর অবকাঠামো উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস বাংলাদেশ অধিনায়কের।
সাকিব বলেছেন, ‘ঢাকার বাইরেও যে ক্রিকেট আছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু ঢাকা বা চিটাগং বাংলাদেশের ক্রিকেট না। খুলনা, সিলেট বা অন্যান্য ভেন্যুতে যেসব বিদেশি দলকে নেওয়ার সুযোগ আছে, সেই সিরিজগুলো ওই ভেন্যুতে হতে পারে। এতে ওই জায়গার অবকাঠামোর উন্নতি হবে। শুধু জাতীয় দলকে নিয়ে ফোকাস করা আমার মনে হয় সংগঠকদের মূল কাজ না।’