পাকিস্তানের দেখানো পথে হাঁটছে রাজশাহী!

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ফিটনেস ধরে রাখতে ক্রিকেটারদের খাদ্যাভ্যাসে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে পাকিস্তান। পার্শ্ববর্তী দেশটির দেখানো পথে হাঁটছে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট লিগের দল রাজশাহী বিভাগের ক্রিকেটাররা।
পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্প- সবখানেই বিরিয়ানি, তেল-চর্বিযুক্ত এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার নিষিদ্ধ করেছেন দেশটির নতুন প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক। এই নিয়ম মেনে চলে ফিটনেস ইস্যুতে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররাও।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক সূত্র জানায়, 'এনসিএল চলাকালে রাজশাহী ক্যাম্পে বিরিয়ানি এবং খিচুড়ি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা (ক্রিকেটার) তেল-চর্বিযুক্ত খাবার থেকে নিজেদের বিরত রাখতে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে।'

নিজেদের খাবারের প্রতি খেয়াল রাখতে ফতুল্লায় আয়োজিত জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে স্থানীয় রাঁধুনিদের তেল-চর্বিযুক্ত খাদ্য দিতে বারণ করেছেন ক্রিকেটাররা। মধ্যাহ্নভোজ কিংবা রাতের খাবার কোনো বেলায়ই তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ করেননি রাজশাহীর ক্রিকেটাররা।
জাতীয় লিগ শুরুর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ইস্যুতে জোর দেয় বিসিবি। ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করার পর জাতীয় লিগ খেলার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা, এমন নিয়ম করে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
ক্রিকেটারদের ফিটনেসে উন্নতির জন্য বিপ টেস্টের মাপকাঠিও গত বছরের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া হয়। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বিপ টেস্টের নতুন মাপকাঠিকে স্বাগত জানালেও শুধুমাত্র ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা ক্রিকেটারদের অনেকে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বিপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়া অনেকে টুর্নামেন্টের মাঝেও বিপ টেস্ট দিয়েছেন। ফিটনেসে পিছিয়ে থাকার কারণে বিশ্বের বাকি দেশগুলোর তুলনায় মাঠেও পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশ। যে কারণে দেশের ক্রিকেটের সব পর্যায়ে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ওপর জোর দিচ্ছে বিসিবি।
রাজশাহীর ক্রিকেটাররা ফিটনেসের দিকে বাকি দলগুলোর তুলনায় এগিয়ে আছে। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ফিটনেসের ব্যাপারে বেশ মনোযোগী। দলের মধ্যে এমন অনুপ্রেরণা এনেছেন রাজশাহীর অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম।
দলের ড্রেসিংরুমে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তাঁরই।