ভারত সফরের দরজা জাতীয় লিগ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৮ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন ইমরুল কায়েস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই সিরিজের পর আর দলে ফেরা হয়নি তাঁর। মাঝে দলের ক্যাম্পে ডাক পেলেও পারিবারিক কারণে ছুটিতে ছিলেন তিনি।
এর আগে জুলাইতে ‘এ’ দলের হয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন ইমরুল। ৩ মাস পর ব্যাট হাতে নিয়ে খুলনার হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। রংপুরের জার্সিতে ৩১৯ বলে ২০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইমরুল।

জাতীয় লিগের প্রথম দুই রাউন্ডে খেলবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এরপর ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ভারত সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প। তাই এবারের জাতীয় লিগকে ভারত সফরে দলে ফেরার অন্যতম দরজা হিসেবে দেখছেন ঢাকা মেট্রোর ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
রবিবার ঢাকা মেট্রো এবং চট্টগ্রামের মধ্যকার ম্যাচ শেষ সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আপনি যদি শুধু জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করেন, হয়তো বেশ অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে এবং আমরা বেশ কয়েক মাস ধরেই ক্রিকেট খেলছি।’
‘যেহেতু সামনে আমাদের ভারত সফর, এটি একটি বড় সিরিজ। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাসহ সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছে যেন পারফর্ম করতে পারে এবং স্কোয়াডে সুযোগ পেতে পারে। এটাই সবচেয়ে বড় কথা। যে যেখানেই খেলি পারফর্ম করাটা বড় কথা।’
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কেবল বড় ইনিংস খেলেছেন। বাকি কেউই সেঞ্চুরি ছুঁতে পারেননি। মুশফিকুর রহিম রাজশাহীর হয়ে প্রথম ইনিংসে করেছেন ৭৫। ঢাকা মেট্রোর হয়ে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস। চট্টগ্রামের ওপেনার তামিম ইকবাল দুই ইনিংসে করেছেন ৩০ এবং ৪৬। মুমিনুল হক করেছেন ১১ এবং ০।
ওপেনারদের মধ্যে সাদমান ইসলাম অনিক ঢাকা মেট্রোর হয়ে প্রথম ইনিংসে করেন মাত্র ৬ রান। এ ছাড়া খুলনা বিভাগের হয়ে খেলা সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ রান। সাব্বির রহমান রাজশাহীর হয়ে করেছেন ১১ রান।