তামিমকে আতঙ্কিত করতে চেয়েছিলেন সানি
ছবি: ছবিঃ বিসিবি, রতন গোমেজ

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
জাতীয় লিগের (এনসিএল) প্রথম দিন বৃষ্টি কারণে ??াকা মেট্রো এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে খেলা হয়েছিলো মাত্র ৫১ ওভার। মিরপুরে প্রথম দিন মেট্রোর হয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন আরাফাত সানি। কিন্তু দ্বিতীয় দিন তুলে নেন ৮৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট এই স্পিনার। তার ঘূর্ণিতেই চট্টগ্রামকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি ঢাকা।
প্রথম দিন চট্টগ্রাম ইনিংসের ২১তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সানি। সেই ওভারে তামিম ইকবাল পয়েন্ট অঞ্চলে চার হাঁকান এই স্পিনারকে। এরপর অবশ্য তামিমকে নিজের বিপক্ষে বেশি রান করতে দেননি সানি। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তামিম। তার আগে সানির করা ২৪ বলে দেশ সেরা এই ওপেনার রান নিয়েছেন মাত্র ৭।

প্রথম ওভারে চার হাঁকানো এই ওপেনার এরপরের ২২ বলে রান নিয়েছেন মাত্র ৩ রান। সে সময় সানির পরিকল্পনা ছিল তামিমকে আতঙ্কিত করে শট খেলতে বাধ্য করা। সাংবাদিকদের সঙ্গে ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
৮৭ রানে ৬ উইকেট নেয়া সানি এই পরিকল্পনা নিয়েই বোলিং করেছেন তামিমের বিপক্ষে। সানি বলেন, 'লঙ্গার ভার্সনে কিন্তু রান করা সহজ না। আমি চাচ্ছিলাম ওকে আটকে রাখার জন্য বা ওকে আতঙ্কিত করার জন্য। যেহেতু সে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। চাচ্ছিলাম ওকে আটকে রাখতে যেন সে শটস খেলে।
চেয়েছিলাম যে নিজ থেকে যেন সে চার বানিয়ে নেয়, কিন্তু আমি দিবো না। এই ফরম্যাটে তো বাজে বল না পেলে কেউ শটস খেলে না। চেষ্টা করছিলাম ওকে আতঙ্কিত করে কিছু একটা করার জন্য। চাচ্ছিলাম ও নিজেই আমার বলে আউট হোক বা গিফট করুক। এরকম একটা পরিকল্পনা ছিল।'
বিশ্বকাপ এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজে ব্যর্থতার পর বিশ্রামে গিয়েছিলেন তামিম। এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেছেন এই ওপেনার। নিজের ফেরার ম্যাচে বড় স্কোর করতে না পারলেও ব্যাটিংয়ের সময় তাঁকে দেখে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে সানির।
সানি আরও বলেন, 'চার দিনের ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করা উচিৎ ও সেভাবেই ব্যাটিং করেছে। কোনও তাড়াহুড়া না করে বল টু বল দেখে খেলছিলো। দেখে মনে হচ্ছিলো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করছে। কালকের উইকেট এমন ছিল যে চাইলেও শটস খেলা যাচ্ছিলো না। উইকেট হিসেবে সুন্দর ব্যাটিং করেছে তামিম।'