promotional_ad

'বাংলাদেশ-ভারত সমান সমান'

ছবিঃ বিসিবি, রতন গোমেজ
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ ভারত মানেই মানসিক প্রতিবন্ধকতা। না চাইলেও ভারতের বিপক্ষে বাড়তি চাপ ভর করে বাংলাদেশের জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাঁধে। নকআউট স্ট্যাজে প্রতিপক্ষ ভারত শুনলেই অজানা এক ভীতি কাজ করে সবার মাঝে। কারণ ভারত মানেই ধরাশায়ী বাংলাদেশ, অতীতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে অনেকবারই।


২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, ১০৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে দলটি। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে খেলা সেই ফাইনালে ৮ উইকেটে হারতে হয় স্বাগতিকদের। শিরোপা ঘরে তোলার সুযোগ ভেস্তে যায় বাংলাদেশের।


এরপর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা। সেখানেও ভারতকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটি। ৯ উইকেটের বড় পরাজয়ে টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন অধরা থেকে যায় বাংলাদেশের।


শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফির ফাইনালেও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, ফলাফলও একই। ভারতীয় ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিকের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে হারে সাকিব-তামিমরা। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালেও ভারতের বিপক্ষেই হেরেছে বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৩ উইকেটের পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে তাদের।


জাতীয় দলের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মানসিক প্রতিবন্ধকতাও ভারত। গত বছর ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশের যুবারা। লড়াই করেও জয়ের দেখা পায়নি স্বাগতিক দলটি, মাত্র দুই রানে পরাজিত হতে হয়েছে তাদের। চলতি বছরের আগস্টে ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলা ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনাল খেলেন আকবর আলী, তৌহিদ হৃদয়রা।



promotional_ad

ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে তারা। অথচ গ্রুপ পর্বে এই ভারতকেই হারিয়েছিল দলটি। এবার শ্রীলঙ্কায় চলমান যুব এশিয়া কাপের ফাইনালেও ভারতকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে বাংলাদেশের যুবারা। তবে চাপ নিচ্ছে না আকবর আলীর দল। যুবাদের অধিনায়ক জানিয়েছেন, ফাইনাল ম্যাচ এবং প্রতিপক্ষ ভারত, দুইটার কোনোটাকেই আমলে নিচ্ছেন না তারা। সম্পূর্ণ ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাই যুবাদের লক্ষ্য।


ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে একান্ত আলাপকালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর বলেন, 'ভারত বলে বাড়তি কোনো চাপ, বিষয়টা ওইরকম কিছু না। আমরা নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলতে না পারলে যে কোনো দলের বিপক্ষেই হারব। এমন নয় যে শুধু ভারতের বিপক্ষেই হারব। আমরা যে দিন ভালো খেলি, যে কোনো দলকেই হারাতে পারি। বাড়তি কোনো চাপ নিচ্ছি না যে ভারতের সঙ্গে খেলা, তাদের সঙ্গে আগের দুই ম্যাচ হেরেছি। সাধারণ একটা ম্যাচের মতোই নিচ্ছি।'


'ফাইনাল, সেরকম কোনো কিছু না। আমরা যখন ইংল্যান্ডে হেরেছিলাম, সাধারণ একটা ম্যাচের মতোই ছিল। ফাইনাল হিসেবে নিলেই মনে হয় চাপ আসবে। আমরা সবাই এই ম্যাচকে আট-দশটা ম্যাচের মতোই নিচ্ছি। বাড়তি কোনো চাপ না, সাধারণ একটা ক্রিকেট ম্যাচ হিসেবেই নিচ্ছি।যোগ করেছেন যুব দলের অধিনায়ক।


আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। শক্তির বিচারে দুই দলই সমান। বাংলাদেশ এবং ভারত, দুই দলই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাদের ম্যাচ দুটি পরিত্যক্ত হলে বেশি ম্যাচ জেতায় ফাইনালে জায়গা করে নেয় দুই দল।


গ্রুপ পর্বে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং আরব আমিরাতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় খেলেছেন ১২৬ রানের নজর কাড়া ইনিংস। নেপালের বিপক্ষে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক আকবর। অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ডানহাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিব দুই ম্যাচ খেলে ৫ উইকেট নিয়েছেন। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট।


শক্তি-সামর্থ্যের দিকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের যুবারা। অধিনায়ক আকবরও বলছেন শক্তির বিচারে সমকক্ষ বাংলাদেশ-ভারত, 'যদি দুই দলের শক্তির জায়গার কথা বলি তাহলে বলবো আমরা সমান সমানই রয়েছি। কেননা আমরা খুব ভাল খেলছি গত এক বছর থেকে। আমরা কোনো দিক থেকেই খারাপ না। আমাদের স্পিন আক্রমণ বলেন, পেস আক্রমণ এবং ব্যাটসম্যানরাও সবাই ভালো ফর্মে রয়েছে। আশা করছি ভাল ফাইনাল হবে এবং আমরা জিতে যাব। ভারতের কথা যদি বলেন তাদের বোলিং আক্রমণের তুলনায় ব্যাটিং বিভাগটা একটু বেশি শক্তিশালী।'



বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক প্রত্যাশা করছেন, ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জিতবে তাঁর দল। মানসিক, শারীরিক; সব দিক থেকেই প্রস্তুত তাঁরা। ভয় এবং চাপ দুটোকেই দূরে সরিয়ে রাখছেন দলের সকলে, 'আমরা প্রস্তুতই আছি। পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলেছি আশাকরি ফাইনালে ভালো খেলতে পারব, ইনশাআল্লাহ্


মানসিক দিক থেকে সবাই খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। আশাকরি আমরা ভালো খেলতে পারব। গ্রুপ পর্বে আমরা ভালো খেলেছি, তাই আশা করছি ফাইনালটাও নির্ভার থেকে জিততে পারব। এবারের ফাইনালেও যে দল ভাল খেলবে সেই দল জিতবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।'


জিততেই হবে, এমন মানসিকতা নিয়েই ভারতের বিপক্ষে যুব এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ভারত নামের ভয়কে ঘাড় থেকে নামানোর সুযোগ আরও একবার পেল বাংলাদেশের ক্রিকেট।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball