চা খেতে গিয়ে দল হারিয়ে ফেললামঃ নাফিসা কামাল

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরবর্তী আসর সাজানো হচ্ছে নতুন আঙ্গিকে। যেখানে সব দলের মালিক থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে না, এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ সিদ্ধান্তে বেশ হতাশ বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
চার বছরের সাইকেলে নতুন করে নীতিমালা প্রণয়ন করতে চেয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু এসন নীতিমালার সঙ্গে একমত হতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। পরবর্তীতে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করে বিপিএল কর্তৃপক্ষ।
যেখানে দলগুলো তাদের প্রস্তাব উত্থাপন করে। সব দলের সঙ্গে বৈঠক করার বেশ কয়েকদিন হঠাৎই ফ্র্যাঞ্চাইজি না থাকার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। একাই বিপিএলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছে তারা, জানিয়েছেন পাপন। যার ফলে দলগুলোর স্বত্বাধিকারীরা রয়েছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে।

বিসিবি প্রধানের এমন সিদ্ধান্তের পর শুক্রবার জরুরী ভিত্তিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজের মতামত জানান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্বত্বাধিকারী নাফিস কামাল। সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি বলেছেন, 'চা খেতে গিয়ে দল হারিয়ে ফেললাম।'
তিনটি দাবি রাখা হয়েছিল কুমিল্লার পক্ষ থেকে। বিপিলের লভ্যাংশ ভাগাভাগি, স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রাফটের বাইরে চুক্তি এবং ড্রাফট নিয়মে ক্রিকেটার দলে ভেড়ানো।
নাফিসার মতে, 'অন্যান্য সব টুর্নামেন্টেই লভ্যাংশ ভাগাভাগি হয়, শুধু বিপিএল এটা করে না। এছাড়া স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাইরে থেকে চুক্তি করার সুযোগ না দিলে তারা উপযুক্ত পারিশ্রমিক পায় না, যা উচিত মনে হচ্চে না আমরা। আর আমরা নিলামে না গিয়ে ড্রাফট নিয়মে থাকতে চাই।'
সবার প্রস্তাব মাথায় নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করার কথা জানায় বিপিএল কর্তৃপক্ষ। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে সেটা পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চয়তাও দিয়েছিল তারা। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নীতিমালার সঙ্গে একমত না হলেও আবারো মিটিংয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব ওলট-পালট হয়ে যায়। এমনকি নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু বিপিএল রাখার ঘোষণাও ইতোমধ্যে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি পাপন।
যা নিয়ে বেশ হতাশ নাফিসা কামাল, 'মিটিংয়ে আমাদের বলা হয়েছিল, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপনাদের কাছে একটা ড্রাফট পাঠানো হবে। যা তাদের প্রস্তাব এবং আমাদের প্রস্তাব মিলিয়ে তৈরি করা হবে। সেখানে রাজি থাকলে পরবর্তী চার বছরের জন্য স্বাক্ষর করতে হবে। যদি কেউ রাজি না এরপরও একটা মিটিং হবে। ঠিক এমনই কথা হয়েছে। আপনারা তখনকার রেকর্ড খুঁজে দেখতে পারেন।'
বিপিএলের লভ্যাংশ ভাগাভাগি করতে কোনোভাবেই রাজি নন বিসিবি প্রধান। তিনি সাফ বলেছিলেন, 'রেভিনিউ শেয়ারিং করা সম্ভব নয়। আমরা চাই যারা বিপিএলে আসবে তারা বিপিএলে খেলার উন্নয়ন, খেলোয়াড়ের উন্নয়নের জন্য আসবে। ব্যবসা করার জন্য নয় বিপিএল।'