পেসার নিলে একদিনেই ৪০০ রান হতোঃ সাকিব
ছবি: ছবিঃ বিসিবি, রতন গোমেজ

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ঘরের মাঠে পেসাদের ওপর একদমই আস্থা নেই টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের! যে কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে কোনো পেসার ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ।
এশিয়ার কন্ডিশনে বাংলাদেশের পেসাররা কার্যকরী নয়, নির্দ্বিধায় বলছেন কাপ্তান সাকিব। ৫ টেস্ট খেলা তাসকিন আহমেদের ইকোনমি ৪.৪০, ৫ টেস্ট আবু জায়েদ রাহির ইকোনমি ৩.৩৪। অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন ২৬ টেস্ট খেলেছেন, যেখানে তাঁর ইকোনমি ৩.৯১। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের ইকোনমি ৩.২০, তিনি খেলেছেন ১৩টি টেস্ট।
তাই সাকিব মনে করেন, এই কন্ডিশনে পেসার দিয়ে বল করালে এ???দিনেই ৪০০ রান সংগ্রহ করতো প্রতিপক্ষ। আর এমন হলে প্রথম দিনই টেস্ট থেকে ছিটকে পড়তে হতো তাদের।

চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, 'আমি যেটা ম্যাচের আগের দিন বলেছিলাম, পেস বোলারদের আগে সেই জায়গা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি দেখেন আমি আজই পরিসংখ্যান দেখছিলাম, আমাদের পেস বোলাদের গড় ইকোনমি ৪.৪১। তার মানে, ওরা যদি ৯০ ওভার বল করে তাহলে ওরা একদিনে রান দিবে ৪০০। আমরা কিন্তু প্রথম দিনেই টেস্টের বাইরে।'
শুধু আফগানিস্তান নয়, গত বছরের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠের টেস্টে পেসার ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। সফলও হয়েছিল দল, সফরকারীদের হারিয়েছিল বড় ব্যবধানে।
সাকিবের মতে, পেসারদের নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। ইকোনমি ৩ এর নিচে নামিয়ে আনতে। আর তখনই দেশের মাটিতে তাদের দলে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
'ওদের ইকোনমি যদি এমন থাকে ২.৮, ২.৯ তাহলে তখনই কেবল আমরা ওদের করতে পারব। আপনি যদি দেখেন, গত যে কয়েকটা ম্যাচ আমরা ঘরে খেলেছি আমাদের সবগুলো পেসাররা কতগুলা উইকেট নিয়েছে, কয় ওভার বল করেছে, কত ইকোনমিতে বোলিং করেছে।'
যদিও অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ এবং সাকিব সেভাবে আফগানদের আটকে রাখতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রান নিয়েছে সফরকারী দলটি।
বাংলাদেশের সামনে ৩৯৮ পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে রশিদ খানের দল।