আফগান শাসনের পর বৃষ্টির কবলে চট্টগ্রাম টেস্ট
ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| সিনিয়র ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে ||
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট বৃষ্টির কবলে পড়েছে। ২০ মিনিট এগিয়ে রবিবার ৯টা ৪০ মিনিটে খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হয়নি। কভার দিয়ে উইকেট ঢেকে রাখা হয়েছে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে বেশ বাতাসও আছে। বৃষ্টির যে ধরন, তাতে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খেলা শুরু হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম টেস্টের শুরুর দিন থেকেই বৃষ্টির উৎপাত ছিল। তবে সেই উৎপাতে খেলা বেশি সময় বন্ধ থাকেনি। দুই-এক মিনিটের ঝাটকা দিয়েই থেমে গেছে বৃষ্টি। যদিও এতে কয়েকবার খেলা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু গতকাল থেকে রাজত্ব নিয়ে নিয়ে প্রকৃতি। বৃষ্টির হানায় তৃতীয় দিনের খেলা পুরোপুরি অনুষ্ঠিত হয়নি। আলোক স্বল্পতা তো ছিলই, বিকালে শুরু হয় বৃষ্টি। যে কারণে দুই বল বাকি থাকতেই দিনের খেলা শেষ করতে হয়।

শনিবার শেষ বিকালে বৃষ্টি শুরু হয়। কিছুক্ষণ ঝরার পর বৃষ্টি থেমে যায়। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টায় আবারো শুরু হয় বৃষ্টি। থেকে থেকে রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। সকাল পর্যন্তও থামেনি। রং বদলে কখনও ভারী, কখনও গুড়িগুড়ি আকারে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সারাদিনই বৃষ্টির উৎপাত থাকতে পারে।
এমন শঙ্কাতেই ছিলেন আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ অ্যান্ডি মোলস। শেষ পর্যন্ত তাঁর শঙ্কা বাস্তবে রূপ নিলো। দলের হাতে চট্টগ্রাম টেস্টের নাটাই থাকার পরও স্বস্তি পাচ্ছিলেন না আফগান কোচ। সাগরিকার আকাশ দেখে রীতিমতো বিস্মিত তিনি।
হুটহাট বৃষ্টি নামার ব্যাপারটি রহস্যের মতো মনে হচ্ছিল মোলসের কাছে। তাই এই রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়েন আফগানদের ইংলিশ এই কোচ। আগামী দুই দিনের আবহাওয়ার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের জন্য বিসিবিকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
বৃষ্টির আগে চট্টগ্রাম টেস্টে শাসন করে গেছে কেবল আফগানিস্তানই। প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রান তোলা আফগানরা স্পিন ছোবলে বাংলাদেশকে ২০৫ রানেই অলআউট করে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৩৭ রান তোলা আফগানরা ইতোমধ্যে ৩৭৪ রানের বিশাল লিড পেয়ে গেছে। এমন সময় বৃষ্টির হানায় বাংলাদেশ অস্বস্তিতে না পারলেও আফগানরা নিশ্চয়ই আফসোস করা শুরু করে দিয়েছে।