|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ  

আফগানিস্তান (প্রথম ইনিংস)- ৩৪২/১০ (১১৭ ওভার) (রহমত-১০২, আফগান-৯২; তাইজুল-৪/১১৬, নাঈম-২/৪৩ 

বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ২০৫/১০ (৭০.৫ ওভার) (মোসাদ্দেক- ৪৮*, মমিনুল-৫২; রশিদ-৫/৫৫, নবি-৩/৫৬) 

আফগানিস্তান (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১৭১/৫ (৬৫ ওভার) (আফসার-১৪*, নবি-০* সাকিব- ২/৫১, নাঈম-২/৩৯) 

লিডঃ ৩০৯ রান

নাঈমের বলে সেঞ্চুরি মিস জাদরানেরঃ  

চা পানের বিরতির পর খুব বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। ৮৭ রান করে নাঈম হাসানের বলে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ১৭১ রানের মাথায় নাঈমের করা ৬৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লং অন অঞ্চল দিয়ে উড়িয়ে মারতে যান জাদরান। কিন্তু ঠিক মতো ব্যাটে বলে না হওয়ায় মুমিনুলের তালুবন্দি হন ১৭ বছর বয়সী এই ওপেনার।  

চা পানের বিরতিতে আফগানিস্তানঃ 

২৯৩ রানের বিশাল লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে গেছে আফগানিস্তান। বিরতির পর ৮২ রান নিয়ে খেলতে নামবেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। আর তাঁর সঙ্গী হিসেবে ৪ রানে ব্যাটিং করবেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান আফসার জাজাই। 

তাইজুলের ব্রেক থ্রুঃ  

আসগর আফগান এবং ইব্রাহিম জাদরানের ১০৮ রানের জুটিটি ভাঙতে সক্ষম হন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া আসগরকে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান তাইজুল।

তাইজুলের করা বলটি ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন সাবেক আফগান অধিনায়ক। তবে ভুল লাইনে খেলার কারণে ব্যাট এবং প্যাডে লেগে জমা পড়ে সাকিবের হাতে। ফলে ৫০ রানে সন্তুষ্ট থাকতে হয় আসগরকে।  

জাদরানের হাফ সেঞ্চুরিঃ

টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ১৭ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জাদরান। তাঁর দারুণ ব্যাটিংয়ে এরই মধ্যে বিপদ কাটিয়ে উঠেছে আফগানিস্তান।জাদরানের সঙ্গী আসগর আফগানও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করছেন। দলকে এরই মধ্যে শত রানের কোটা পার করিয়েছেন তাঁরা। 

জাদরান ও আফগানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তানঃ 

শুরুতে বিপদে পড়লেও ইব্রাহিম জাদরান ও আসগর আফগানের ব্যাটে দারুণভাবে চাপ সামলে নিয়েছে সফরকারী আফগানিস্তান। দলকে এরই মধ্যে বিপদমুক্ত করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের লিডের পরিমাণ ২০০ ছাড়িয়েছে। 

লাঞ্চ বিরতিতে আফগানিস্তানঃ 

দলীয় ২৮ রানে তিন নম্বর উইকেটটি হারানোর পর ইব্রাহিম জাদরান এবং আসগর আফগানের ব্যাটে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের চেয়ে ১৯৩ রানে এগিয়ে আছে তারা। জাদরান ২৮ এবং আফগান ১৬ রানে বিরতির পর ব্যাটিং করতে নামবেন। 

নাঈমের আঘাতঃ

১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে হাশমতউল্লাহ শহিদিকে সাজঘরে ফিরিয়ে আফগানিস্তানের বিপদ বাড়িয়ে তোলেন তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান। ১২ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে । ১৮ বছর বয়সী এই অফস্পিনারের করা বলটি বাঁহাতি হাশমতউল্লাহর ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্যর হাতে ধরা পড়ে। ফলে মাত্র ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদ বাড়ে সফরকারীদের।  

টানা দুই উইকেট সাকিবেরঃ 

আফগানিস্তানের চেয়ে ১৩৭ রানে পিছিয়ে থেকে বোলিং করতে নেমে শুরুতেই আফগানিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিজের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় এবং চতুর্থ বলেই ইহসানউল্লাহ এবং রহমত শাহর উইকেট দুটি তুলে নেন তিনি। 

ওপেনার ইহসানউল্লাহকে দারুণ একটি লেন্থ বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান সাকিব। এর ঠিক পরের বলেই রহমত শাহকে নিজের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ফলে মাত্র ৪ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সফরকারীরা।  

এর আগে আজ সকালে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে মাত্র চার ওভার টিকতে পেরেছে বাংলাদেশ। শেষ উইকেট হিসেবে নাঈম হাসানকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

৭১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে নাঈমকে আউট করেন তিনি। রিভিউয়ের আবেদন করেছিলেন নাঈম, কিন্তু পরবর্তীতে টিভি আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এই উইকেটটি তুলে নিয়ে নিজের তৃতীয় টেস্টে দুই বার পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন রশিদ খান। 

৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করা বাংলাদেশ দিনের শুরুতেই হারিয়েছে নয় নম্বর উইকেটটি। প্রথম ওভারের তিন নম্বর বলে তাইজুল ইসলামকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। ফলে ১৪ রানে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে।

বাংলাদেশ একাদশঃ 

সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম অনিক, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক)। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস (উইকেট রক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান। 

আফগানিস্তান একাদশঃ

ইহসানউল্লাহ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবি, আফসার জাজাই (উইকেট রক্ষক), রশিদ খান (অধিনায়ক), ইয়ামিন আহমদজাই, কাইস আহমেদ, জহির খান।