নির্বিষ বোলিংয়ে সামনে বিশাল লক্ষ্য

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাটিং করে কুশল জেনিথ পেরেরার সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে পেসার শফিউল ইসলাম নেন ৩টি উইকেট। এদিন বল হাতে ছন্নছাড়া ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ফিল্ডিংয়েও নিজেদের সামর্থ্যের শতভাগ দিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মোহাম্মদ মিঠুনরা। ক্যাচ মিস হওয়ার পাশাপাশি মিস ফিল্ডিং হয়েছে অনেক। যার সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা।
প্রথম ওয়ানডেতে টস ভাগ্য যায় স্বাগতিক দলের অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের পক্ষে। টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন এই দলপতি। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের শুরুটা ভালো করতে দেয়নি বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পেসার শফিউল ইসলাম প্রথম আঘাত হানেন লঙ্কানশিবিরে।
ওভারের পঞ্চম বলে শফিউলের করা অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলকে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন ওপেনার আভিস্কা। ১৩ বলে খেলে ৭ রান করা এই ওপেনারকে বিদায় করেন এই পেসার।
প্রথম উইকেট তুলে নিলেও পরবর্তীতে সেই চাপটা লঙ্কানদের উপর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। উল্টো তাঁদের উপর পাল্টা আক্রমণ করেছে শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে এবং কুশল পেরেরা।

পঞ্চম থেকে দশম ওভার পর্যন্ত ৬ ওভারে দুই জন মিলে নেন ৬৪ রান, এর মাঝে ৪ বার বোলার পরিবর্তন করতে বাধ্য হন এই সিরিজে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করা তামিম ইকবাল। পাওয়ার প্লে শেষেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান দুজন। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল পেরেরা।
অপরপ্রান্তে থাকা অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্ন তাঁকে দারুণ সঙ্গ দেন। এই দুজনের ব্যাটেই দলীয় ১০০ পার করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তাঁদের ৯৭ রানের জুটিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩৬ রানে করুনারত্নকে ফেরান এই স্পিনার।
অধিনায়ক ফিরে গেলেও পেছনে ফেরে তাকাননি পেরেরা। কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। বাংলাদেশের বোলারদের কোনো প্রকার সুযোগ না দিয়ে ৮২ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর ইনিনিংস বেশি লম্বা করতে পারেননি তিনি।
৩৩ ওভারের চতুর্থ বলে সেঞ্চুরিয়ান পেরেরাকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন পার্ট টাইম বোলার সৌম্য সরকার। শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন পেরেরা। ১১১ রানে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। পরের ওভারে কুশল মেন্ডিসকে বিদায় করেন রুবেল।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস এবং লাহিরু থিরিমান্নে মিলে এরপর লঙ্কানদের হাল ধরেন। এই দুজন মিলে জুটি গড়েন ৬০ রানের। ২৫ রানে থিরিমান্নেকে বিদায় করে জুটি ভাঙ্গেন মুস্তাফিজ। পরের ওভারে শফিউল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন থিসারা পেরেরা।
দ্রুত দুই উইকেট হারালেও অভিজ্ঞ ম্যাথুস শ্রীলঙ্কার পক্ষে হাল ধরে খেলতে থাকেন। ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলঙ্কার পুঁজি ৩০০'র উপর নিয়ে যান সাবেক এই অধিনায়ক। ৪৮ রান করে মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। খানিক পর শফিউল ইসলামের তৃতীয় শিকার হয়ে বিদায় নেন ডি সিলভা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শ্রীলঙ্কাঃ ৩১৪/৮ (৫০ ওভার)
(কুশল পেরেরা ১১১) (শফিউল ৩/৬২)