|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আফগানিস্তান 'এ' দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ 'এ' দল। সিরিজে টিকে থাকতে হলে বুধবার জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না ইমরুল কায়েসের দলের সামনে। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মাঠে নেমে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশ। পেসার আবু জায়েদ রাহির দুর্দান্ত বোলিং এবং স্পিনার মেহেদি হাসানের ঘূর্ণির সামনে মাত্র ১২২ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছে আফগানিস্তান 'এ' দল।

ব্যাকফুটে থাকা বাংলাদেশ দল 'এ' দল ম্যাচটিতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত দেয়। বোলিং করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে উইকেট উপহার দেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। 

প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আঘান হানেন তিনি। প্রতিপক্ষের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ০ রানে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন এই ডানহাতি পেসার।  এর খানিকপর দলীয় ২৫ রানে তিন নম্বরে নামা উসমান গনিকেও বিদায় করেন রাহি।

১২ রান করে উইকেটরক্ষক জাকের আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। এরপরের কাজটা দলের পক্ষে করেছেন স্পিনার মেহেদি হাসান। ২৫ রানে ২ উইকেট হারানো নাসির জামালের দল ৩৪ রানে শহীদউল্লাহকে হারিয়ে বসে।

ব্যক্তিগত ৮ রানে এই স্পিনারের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। খানিক পর অধিনায়ক নাসির জামালকেও বিদায় করেন তিনি। ৪০ রানে ৪ উইকেট হারানো আফগানদের বিপদমুক্ত করতে পারেননি ওপেনার ইবরাহিম জাদরানও।

দলীয় ৫০ রানে মেহেদির ঘূর্ণিতে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। ৬ ওভার বোলিং করে এক মেইডেন সহ এখন পর্যন্ত ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। 

এমন অবস্থায় আফগানদের হয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন দারউইস রাসুলি এবং করিম জানাত। নিজেদের মধ্যে ৩০ রানের জুটি গড়ার পর বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির বলে বোল্ড হন রাসুলি।

নাজমুল ইসলাম অপুর বলে করিম জানাত ফেরেন দলীয় ৮৬ রানে। এরপর নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রতি সুবিচার করেন রাহি।

৪ উইকেট তুলে নেয়ার পাশাপাশি আফগানদের মাত্র ১২২ রানেই থামিয়ে দেন এই পেসার। সফরকারী দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ওপেনার ইবরাহিম জাদরান। 

আফগানিস্তান 'এ' দলঃ ১২২ অল আউট (৩২.৪ ওভার)

(ইবরাহিম জাদরান ২৫) (রাহি ৪/২৮, মেহেদি ৩/২৪)