শেষ হয়ে যাচ্ছে নান্নু-বাশার অধ্যায়!

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
তিন বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তাঁর সঙ্গে নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন হাবিবুল বাশার সুমনও। তবে নির্বাচক হিসেবে সাবেক এই দুই অধিনায়কের অধ্যায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠেয় বিসিবির সভাতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদিও বিসিবির বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, গত জুনে মেয়াদ শেষ হওয়া এই দুই নির্বাচকের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছে না দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সূত্র জানিয়েছে, দুই নির্বাচকের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বিসিবি। বাকি কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।
সূত্র আরও জানিয়েছে, নান্নু ও বাশারের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম। পদ দুটি হলেও এই দৌড়ে জাভেদ ওমর বেলিমের নামও শোনা যাচ্ছে।
এই তিনজন থেকে দুজনকে দায়িত্ব দেয়া হলেও তাঁদের উপরে থাকবেন বিসিবির উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা। যিনি সব কিছু তদারকি করলেও কোনো বিষয়ে জবাবদীহি করবেন না। আগামী শনিবার বোর্ড সভার পরই এসব বিষয়ে সব জানা যাবে। তবে বিবেচনায় থাকতে পারেন হাবিবুল বাশার। প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে নান্নুকে সরিয়ে দেয়া হলেও বাশারকে রেখে দেয়া হতে পারে।

হাবিবুল বাশার প্রসঙ্গে সূত্র বলেছে, ‘আমরা যখন আগামী বোর্ড সভায় বসব, তখন আমাদেরকে অনেক কিছুই বিবেচনা করতে হবে। সত্যি বলতে, প্রধান নির্বাচক হিসেবে হাবিবুল বাশারকে একবার বিবেচনা করা উচিত। কারণ দীর্ঘদিন ধরে সে নির্বাচক প্যানেলে কাজ করে আসছে।’
জানা গেছে, আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হতাশাজনক পারফর্মেন্সই নান্নু-বাশারদের জন্য কাল ধয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এই সিরিজে অংশ নিলেও ব্যাটে-বলে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। উল্টো ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ প্রতিপক্ষ দলের সব ক্রিকেটারই ‘এ’ দলের।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য শুধু ‘এ’ দলের পারফর্মেন্স দিয়েই বিবেচিত হওয়ার বিপক্ষে। নিজেদের গত কয়েক বছরের কাজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমরা প্যানেলে আছি এবং আমি মনে করি যথেষ্ট ভালো কাজ করেছি। অনেকগুলো এইচপি দল নিয়ে কাজ করেছি। অনেক খেলা ছিল ওদের।
জাতীয় দলও যথেষ্ট ভালো খেলেছে। আমার তো মনে হয় গত এক বছরের পারফর্মেন্স যদি আপনি দেখেন প্রায় ৫২ শতাংশ ম্যাচ আমরা জিতেছি। এটা কিন্তু অনেক বড় অর্জন। র্যাঙ্কিংয়েও অনেক উন্নতি হয়েছে। লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেটেও ভালো করছি। সেই হিসেবে আমাকে যদি আবারও সুযোগ দেয়া হয় অবশ্যই ভালো কিছু করবো।’
চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে বিসিবি ইতিবাচক না থাকলেও নান্নু আশাবাদী। তিনি বলছেন, ‘এটি বোর্ডের ব্যাপার যে কাকে করবে। আমি যদি কন্টিনিউ করি তাহলে অবশ্যই ভালো করার চেষ্টা করবো।বোর্ডের সাথে আমাদের যে চুক্তি সেটি অটো রিনিউ হয়। আমাদের চুক্তি জুনে শেষ হয়েছে। আমি আশাবাদী যে অটো রিনিউ করবে। না করার তো কারণ নেই। আমরা তো আল্লাহ্র রহমতে যথেষ্ট ভালো কাজ করেছি।’
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের পদত্যাগের পর তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়।
একইসঙ্গে হাবিবুল বাশার সুমনকে ফের নির্বাচক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগে তাকে নারী দলের নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।