ক্রিকেটারদের দৌড় বুঝতে পেরেছেন নির্বাচকরা

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশ 'এ' দলের পারফর্মেন্সে চোখ খুলে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকদের। পাইপ লাইনে থাকা ক্রিকেটারদের দৌড় কতটুকু, সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন তাঁরা। সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার মনে করেন, ‘এ’ দলের পারফর্মেন্সের পর জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের সামর্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে।
ঘরের মাঠে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ 'এ' দল। চেনা মাঠ এবং কন্ডিশন হওয়া সত্ত্বেও সফরকারীদের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হয়েই যাচ্ছে স্বাগতিকরা। অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে দুটি চারদিনের ম্যাচে প্রথমটি হেরে দ্বিতীয়টি ড্র করে বাংলাদেশ 'এ' দল। ১-০ ব্যবধানে চারদিনের ম্যাচের সিরিজটি হারার পর ওয়ানডে সিরিজেও পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
পাঁচ ম্যাচের অনানুষ্ঠানিক ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিই হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে পাত্তাই পায়নি মোহাম্মদ মিঠুনের দল। ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হার মানে স্বাগতিকরা।

একই মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ভাগ্য বদলায়নি ‘এ’ দলের। ৪ উইকেটের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ইমরুল-বিজয়রা। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের এমন বাজে পারফর্মেন্স দেখে ক্রিকেটারদের সক্ষমতা সম্পর্কে আন্দাজ হয়েছে নির্বাচকদের, মনে করছেন নির্বাচক এবং 'এ' দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা বাশার।
‘ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক সময় আমরা বিচার করতে পারি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকেই ভালো খেলে। ‘এ’ দলে এলে তাদের পরীক্ষাটা ভালো হয়। এই পরীক্ষাটা কেউ ভালোভাবে দিতে পারেনি। সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়ররা অবদান রাখছে। খেলা হওয়াতে আমরা আসল চিত্রটা পাচ্ছি।
এদের না খেলালে আমরা যেমন বুঝতে পারব না, ওরাও বুঝতে পারবে না ওরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। তাই ব্যাপারটা আসলে এটাই। কী করতে হবে, কাকে নিয়ে এগুতে হবে, একটা পরিষ্কার চিত্র পাচ্ছি।’ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন তিনি।
‘এ’ দলের এমন পারফর্মেন্সে টনক নড়েছে নির্বাচকদের। কারণ এখানকার সব ক্রিকেটারই ঘরোয়া ক্রিকেটের পরীক্ষিত পারফর্মার। ধারাবাহিকভাবে এই ক্রিকেটারদের ব্যর্থ হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিসিবি।
‘আমাদের বসে ভাবতে হবে আসলে সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে। এমন তো না যে আমরা কোনো কাজ করছি না। সারা বছর ট্রেনিং পাচ্ছে। কোচরা সাহায্য করছে। সুযোগ সুবিধা খুবই ভালো। আমরা যখন ছিলাম জাতীয় দলে তখন তেমন অনুশীলন করতে পারতাম না।
এখন তো সারাদিনই অনুশীলন করতে পারে। কোচরা কষ্ট করছে। এটা এখনকার ক্রিকেটারদের জন্য অনেক। কিন্তু তারা কেন ভালো করছে না এটা আসলে আমাদের ভাবতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে কেন এমন হচ্ছে।’