দলগতভাবে বিবর্ণ বাংলাদেশের পারফর্মেন্স

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এবারের বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তানকেও হারিয়েছে তারা।
শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষেও লড়াই করেছে তারা। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার পাশাপাশি মাঠের খেলা দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ক্রিকেটের অনেক রথী মহারথী বন্দনা করেছেন মাশরাফিদের লড়াকু মানসিকতার। তবে বাংলাদেশের এই সাফল্য এসেছে ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সের সুবাদে। দলগত পারফর্মেন্সে অনেকটাই নাজুক অবস্থানে আছে তারা।

প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি তেমন কেউই। ওয়ান ম্যান আর্মির মতো একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি বেশিরভাগ সময়।
মুশফিকুর রহিম কিংবা লিটন দাসরা মাঝে ভালো খেললেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। এর ফলে সেমিফাইনাল স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে বাংলাদেশের। সবমিলিয়ে দলগত প্রাপ্তির খেরো খাতাটা খুব বেশি বড় নয় মাশরাফিদের।
সাত নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শনিবার অস্ট্রেলিয়াকে ১০ রানে হারিয়ে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে দশ দলের টুর্নামেন্টে অষ্টম স্থানে থেকে শেষ করতে হলো মাশরাফিদের।
এই পরিসংখ্যান দেখে যে কেউই তাই প্রশ্ন তুলতে পারেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলীয় অর্জন নিয়ে। পয়েন্ট টেবিলে যদিও প্রোটিয়াদের সমান ৭ পয়েন্ট বাংলাদেশে। তবে রানরেটে পিছিয়ে থাকায় আটে থাকতে হচ্ছে তাদের।
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করা দক্ষিণ আফ্রিকার রানরেট -০.০৩। অপরদিকে পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের রান রেট -০.৪১!
এরই মধ্যে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। কয়েকদিনের মধ্যে আবারো ক্রিকেটে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে তাদের। শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিনটি ওয়ানডে খেলতে চলতি মাসেই উড়াল দিবে মাশরাফিরা।