ওয়ালশ ও মাশরাফিকে রাহির ধন্যবাদ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অভিষেক ওয়ানডেতে উইকেট শুন্য থাকলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। ৫৮ রান দিলেও ৫ উইকেট তুলে নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ছোট ক্যারিয়ারের স্মরণীয় দিনে সিলেটের এই তরুণ ধন্যবাদ জানাতে ভোলেন নি দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে।
প্রথম ম্যাচে উইকেট শুন্য থাকা রাহিকে এই ম্যাচের একাদশে রেখে অধিনায়ক মাশরাফি তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন। সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন এই পেসার। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে কাজ করে সফলতা পেয়েছেন তিনি।

প্রথমে ব্যাট করা আইরিশরা বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিলেও আবু জায়েদ রাহির ৫ উইকেটের দিন দলীয় ৩০০ ছুঁতে পারে নি স্বাগতিকরা। ইনিংসের শুরুতে অ্যান্ড্রু বালবির্নির উইকেটটি তুলে নেয়ার পর ডেথ ওভারে এসে দ্রুত ৪ উইকেট তুলে নিয়ে আইরিশ ইনিংসে ধ্বস নামান তিনি। ইনিংসের ৪৫ থেকে ৪৯তম ওভারে ৩ ওভার বোলিং করেই নিয়েছেন ৪ উইকেট।
'সত্যি অনেক আনন্দিত আমি। সবার আগে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিতে চাই। মাশরাফি ভাইকেও ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য এবং বোলিং কোচ ওয়ালশকেও ধন্যবাদ আমাকে নিয়ে কাজ করার জন্য। ম্যাচটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল ছিল,' বলেছেন রাহি।
গুঞ্জন ছিল বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন রাহি। তাঁর পরিবর্তে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দলে যোগ করা হচ্ছে তাসকিন আহমেদকে। কিন্তু সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে আইরিশদের বিপক্ষে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই পেসার।
বিশ্বকাপ এবং আয়ারল্যান্ড সিরিজের দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছিলেন, সুইং বোলার হিসেবেই দলে রাখা হয়েছে রাহিকে। এই ম্যাচের পারফর্মমেন্স দিয়ে প্রধান নির্বাচকের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন রাহি।
'যেহেতু ইংলিশ কন্ডিশনে খেলা, আয়ারল্যান্ডেও ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। আর মে এবং জুন মাসের দিকে ঠান্ডাও বেশি থাকে। তাপমাত্রাও অনেক কম থাকে। সেই হিসেবে পেসারদের মধ্যে সুইং বোলার কাউকে যদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারি তাহলে সেটি আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। সেই চিন্তা করে রাহিকে দলে রাখা হয়েছে,' বলেন রাহি।