promotional_ad

রাহুলের স্মৃতিতে ২০০৭ বিশ্বকাপের তামিম

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


২০০৭ বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের বিধ্বংসী ফিফটির কাছে পরাজিত হয়েছিল রাহুল দ্রাবিদের শক্তিশালী ভারত। আরও স্পষ্ট করে বলা যায়, ১৭ বছর বয়সী তামিমের টর্নেডো ইনিংসের কাছেই বিশ্বকাপ স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় ভারতের।


পোর্ট অফ স্পিনে দ্রাবিদের টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করা সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল। বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে ভারত যে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হবে এবং বড় স্কোর গড়বে, এটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু মাশরাফি বিন মর্তুজা ভিন্ন চিন্তা লালন করছিলেন। প্রথম স্পেলেই ভিরেন্দ্র শেহবাগ ও রবিন উথাপ্পাকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি।


দুই বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ রফিকের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ভারতের মিডেল অর্ডার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে শচিন, দ্রাবিদ, ধোনি, যুবরাজরা। একপ্রান্ত ধরে রেখে মন্থর গতিতে ব্যাট করে অর্ধশত হাঁকান সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে দেননি রফিক, ১২৯ বল খেলে ৬৬ রান করা গাঙ্গুলিকে ফেরান তিনি।



promotional_ad

লেজের সারির ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধ গড়তে দেননি দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে আসা মাশরাফি। মাশরাফির চার উইকেটের সাথে রফিক ও রাজ্জাকের তিনটি করে উইকেট তারকায় ভরা ভারতকে অল আউট করে ১৯১ রানে। রান মাঝারি মানের হলেও জয়ের আশা ছিল ভারতে, শুরুতে জোড়া আঘাত হানতে পারলেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ, এমন পরিকল্পনা নিয়েই ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা জহির খানকে লেলিয়ে দেন দ্রাবিদ।


‘আমরা আগে ব্যাট করে তুলনামূলকভাবে কম রান করেছি বাংলাদেশের বিপক্ষে। আমরা হয়তো মন্থর সূচনা করেছিলাম, কিন্তু আমরা কিছু উইকেট হারিয়েছিলাম। যেই রান হয়েছে সেটা কখনই যথেষ্ট হত না। কিন্তু আমাদের বোলিং আক্রমণে বিশ্বাস ছিল যে, যদি আমরা আমরা কিছু দ্রুত উইকেট নিতে পারি, তাহলে বাংলাদেশকে চাপে ফেলা যাবে,‘ বলেছেন সাবেক ভারতীয় কাপ্তান রাহুল দ্রাবিদ।


কিন্তু ১৭ বছর বয়সী তামিম নামের ভয়ে কাবু হন নি। ৭ বাউন্ডারি ও ২ বিশাল ছক্কায় ৫৩ বলে ৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ভারতের জয়ের আশা ধূলিসাৎ করে দিয়ে যান তিনি। তামিমের ইনিংসটি বাকিদের কাজ সহজ করে দিয়েছিল। মিডেল ওভারে উইকেট হারালেও মুশফিক ও সাকিবের ফিফটিতে ৫ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পায় বাংলাদেশ।


‘কৃতিত্ব তামিমের, সে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে। সে যা করেছে আমরা হয়তো এমন কিছু প্রত্যাশা করি নি। আমরা জানতাম সে একজন ইতিবাচক মানসিকতার ক্রিকেটার। কিন্তু সে তখনই খুব তরুণ। আমরা তখন ওর শক্তি ও দুর্বলতা খুঁজে বের করছিলাম।



‘তাঁর ভাগ্যও ভালো ছিল। কয়েকবার পরাস্থও হয়েছে। কিছু বল ব্যাটের কোনা ছুঁয়ে গেছে কিন্তু ফিল্ডার হাতে যায় নি। কিন্তু সে ভালো খেলেছে। যখন আপনি আপনার দলকে এমন উড়ন্ত সূচনা এনে দিবেন এমন লো স্কোরিং ম্যাচে, বলা যা, বাকি ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল তামিমের ইনিংস।‘



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball