বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত সুপার সাব ইমরুল

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
টুর্নামেন্টের মাঝপথে দলে যোগ দেয়া ভাগ্যে পরিনত হয়েছে ইমরুল কায়েসের। এবারের বিশ্বকাপেও দেশের প্রয়োজনে বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
ইমরুলকে বাইরে রেখে বিশ্বকাপ ও আয়ারল্যান্ড সফরের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে মিরপুরে চলমান এলিট ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে পারফর্ম করা ক্রিকেটারদের নিয়েই এলিট ক্যাম্প আয়োজন করেছে বিসিবি।

কিন্তু ইমরুলের ডিপিএল পারফর্মেন্স খুব একটা ভালো ছিল না। তবুও নির্বাচকরা জাতীয় দলের প্রয়োজনে ব্যাক আপ প্লেয়ারদের প্রস্তুত রাখতেই বিশেষ ক্যাম্পের স্কোয়াডে রেখেছেন ইমরুলকে।
ইমরুল বলেছেন, ‘দেখুন, আসলে এরকম ক্যাম্প থাকলে অন্তত নিজেকে প্রস্তুত রাখা যায় যে কোনো সময় ডাক পড়লে গিয়ে ওই জায়গাটা হ্যান্ডেল করা সহজ নয়। না হলে হুট করে গিয়ে খেলাটা কঠিন। আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফিটনেস ও ঘরোয়া ক্রিকেটের ফিটনেস দুইটা দুইরকম। আমার মনে হয় ক্যাম্পটা...আমরা যারা ডাক পেয়েছি অবশ্যই আমরা লাকি বলব কারণ বিশ্বকাপ চলছে যদি কারও ইনজুরি হয় এখান থেকে খেলোয়াড়রা যাবে। তো আমাদের ক্যাম্পটা সবাই খুব সিরিয়াসলি করছি কারণ বলা যায় না এখান থেকে খেলোয়াড় দরকার হলেও হতে পারে।
‘এশিয়া কাপে খেলেছিলাম হঠাৎ করে গিয়ে এটা আমিও জানি সবাই জানে। এটা আসলে কঠিন ছিল। তার আগে আমি প্রায় ৬ মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিনি। এটা আমার জন্য ভাল যে এবার অন্তত ভাল যে এবার এখানে প্র্যাকটিসে আছি স্কিল নিয়ে। যদি সুযোগ আসে যেকোনো কন্ডিশনে যে কোনো পরিস্থিতিতে খেলার জন্য টিম আমাকে মনে করে আমি প্রস্তুত। সমস্যা নেই।‘
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওপেনার এনামুল হক বিজয় ইনজুরির শিকার হলে দলের সাথে যোগ দেন তিনি। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপেও তামিম ইকবালের ইনজুরির কারণে সুযোগ মিলে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসের। শুধু তাই নয়, এশিয়া কাপে নিজের পজিশন ওপেনিংয়ে নয়, খেলতে হয়েছে মিডেল অর্ডারে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইমরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৯ বলে ৭২ রানের ইনিংস।
ইমরুল কায়েস গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ৯০ ছাড়ানো ইনিংস খেলার পর উইন্ডিজ সিরিজে ব্যর্থ হন। পর পর দুই ইনিংসে ওশান থমাসের বাউন্সারে আউট হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড সিরিজ, পরবর্তীতে আয়ারল্যান্ড ও বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বিবেচনার বাইরে চলে যান। তবে 'সুপার সাব' ইমরুল এখনই আশা হারাচ্ছেন না। কে জানে, দীর্ঘ দেড় মাসের বিশ্বকাপে দুয়ার খুলেও যেতে পারে ইমরুলের।