promotional_ad

ত্রিদেশীয় সিরিজ জিততে চান মাশরাফি

ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


পর পর দুই ম্যাচে উইন্ডিজদের হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ফাইনালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।


বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিততে পারেনি। ২০০৯ সাল প্রথমবারের মত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনাল হারের সেই দুঃখ এখনো পোড়ায় বাংলাদেশি সমর্থকদের। এরপর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে পরাজিত হওয়া নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।


‘আগামী ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জয়ের ধারা বজায় রাখতে হবে। আমরা কখনই ত্রিদেশীয় সিরিজ জয় করে নি। এটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ শিরোপা জেতার। অবশ্যই, আয়ারল্যান্ডের সাথে কঠোর হয়ে খেলতে চাই, দেখি কি হয়,‘ উইন্ডিজদের বিপক্ষে ৫ উইকেটের সহজ জয়ের পর বলেছেন মাশরাফি।



promotional_ad

বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করে ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান করে ক্যারিবিয়রা। অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা শাই হোপ আজও রানের দেখা পেয়েছেন। ১০৮ বলে হোপের ৮৭ রানের ইনিংসটিই ছিল উইন্ডিজ পারফর্মেন্সের মেরুদণ্ড। ভালো সূচনার পর মাশরাফি, মুস্তাফিজ ও মিরাজদের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে উইন্ডিজ টপ অর্ডার।


সেখান থেকে কাপ্তান জেসন হোল্ডার ও শাই হোপ উইন্ডিজদের সঠিক পথে ফেরান। পঞ্চম উইকেটে জোড়া ফিফটি হাঁকিয়ে শতরানের জুট গড়ে এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে সাকিব ও মাশরাফির অভিজ্ঞতার সাথে পেরে ওঠে নি তরুণ ক্যারিবিয়রা।  ৪২ ও ৪৪তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে সাজঘরের পথ দেখান উইকেটে জমে যাওয়া হোপ ও হোল্ডারকে। আরেকপ্রান্ত থেকে ক্রমাগত ডট বলে চাপ বাড়াতে থাকে সাকিব।


বাকি কাজটুকু করেছেন অংকের বিচারে দিনের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। দ্রুত তিন উইকেট নিয়ে উইন্ডিজ লোয়ার অর্ডারে ধস নামান তিনি। ৯ ওভারে ৪৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুস্তাফিজ।


২৪৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো সূচনা করেন তামিম ও সৌম্য। কিন্তু অফ স্পিনার অ্যাশলে নার্সের বলে ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের শেষের দিকে এসে বোল্ড হন ২৩ বলে ২১ রান করা তামিম। যদিও তামিমের বিদায়ে বড় ক্ষতি হতে দেন নি সৌম্য ও সাকিব। অর্ধশত রানের জুটি আসে দুই বাঁহাতির কাছ থেকে। সাকিব বেশি শট খেলার প্রবনতায় সেই নার্সকেই উইকেট দিয়ে আসেন ২১তম ওভারে, আউট হন ২৯ রান করে।



সৌম্য পর পর দুই ম্যাচে ফিফটি আদায় করে নিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, নার্সের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন একই ওভারে। বাংলাদেশকে জয়ের ধারায় রাখেন মুশফিক ও মিঠুন। আরেকটি অর্ধশত ছাড়ানো জুটিতে ভর করে বাংলাদেশ সহজের জয়ের পথ খুঁজে পায়। মিঠুন ৪৩ রান করে বিদায় নেন, ৬৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। তবে দুইজনই ম্যাচ শেষ করে না আসার আক্ষেপে পুড়বেন। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন ৩০ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball