ভিত গড়ে দিয়েছে ডেথ ওভারের বোলিং

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৪১তম ওভারের পঞ্চম বলে রস্টন চেইজকে সাজঘরেের পথ দেখান মাশরাফি বিন মুর্তজা। উইন্ডিজদের রান তখন ২০৫, তিন উইকেটে। সেখান থেকেই উইন্ডিজ ব্যাটিং অর্ডারের খুলে যাওয়া দুয়ার বন্ধ হতে দেয় নি বাংলাদেশি বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে ইনিংসের শেষ বলে অ্যাশলে নার্সকে আউট করেন মুস্তাফিজ, উইন্ডিজদের স্কোরবোর্ড থামে ২৬১ রানে।
শুরুটা অবশ্য ভিন্ন অংকের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা শাই হোপ ও নতুন ওপেনার সুনিল আমব্রিসের ৮৯ রানের ওপেনিং জুটির পর তিন নম্বরে নামা ডোয়াইন ব্রাভো দ্রুত বিদায় নিলে হাল ধরেন রস্টন চেইজ ও হোপ। সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিয়েছিল। কিন্তু চেইজের পর সেঞ্চুরি পূর্ণ করা হোপ ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন।
বাকিরাও খেই হারায় মাশরাফি, সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজের ডেথ ওভারের বোলিংয়ে। 'বোলিং কথা বলতে গেলে, ৪০ ওভারের আগে থেকেই আমরা ভালো বল করছিলাম,' ম্যাচ শেষে বলেছেন অধিনায়ক মাশরাফি। 'আমরা উইকেট নিচ্ছিলাম ওই সময়টায়। উইকেট ভালো ছিল। আমরা ওদের যথেষ্ট রান তুলতে দেই নি।

তবে ২৬২ রানের লক্ষ্যটাও কঠিন করে তোলার সামর্থ্য ছিল উইন্ডিজ বোলারদের। কিমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, শেলডন কোট্রেলরা সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে আছে। কিন্তু তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের ১৪৪ রানের ম্যারাথন পার্টনারশিপে স্বপ্ন ভাঙ্গে উইন্ডিজদের।
তামিম দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও ব্যাট চলেছে সৌম্য সরকারের। তাতেই চাপ কেটেছে বাংলাদেশ ক্যাম্পের। ৭৩ রানের চোখ জুড়ানো ইনিংসটি এসেছে মাত্র ৬৮ বলে, ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে।
সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল, কিন্তু রস্টন চেইজের ছক্কা হাঁকানোর বলটি টাইমিংয়ে গড়বড় করে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হন তিনি। সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তামিমও। ১১৬ বল খেলে ৮০ রানের ইনিংসটি ছিল অসমাপ্ত গল্পের মতন, চেয়েছিলেন জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়তে, প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে মাঠ ছাড়তে। কিন্তু গ্যাব্রিয়েলের লেগ ষ্ট্যাম্পের ওপরের নিরীহ বলটি শট মিড উইকেটে ফ্লিক করতে গিয়ে হোল্ডারের ক্যাচে পরিনত হন তিনি।
তবে আক্ষেপ করতে দেন নি সাকিব ও মুশফিক। সাকিবের ৬১ বলে ৬১ রানের ইনিংসের সাথে মুশফিকের ২৫ বলে ৩২ রানের ক্যামিও বাংলাদেশকে ৪৫ ওভারেই জয়র বন্ধরে পৌঁছে দেয়।
'তামিম-সৌম্য খুব ভালো সূচনা করেছিল। সাকিব ও মুশফিক শেষটা ভালো করেছে,' বলেছেন মাশরাফি।
আয়ারল্যান্ড সফরে শুরুটা অবশ্য মধুর ছিল না টাইগারদের জন্য। আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে হার সহজে মেনে নেয়ার মতন ছিল না। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজের আসল লড়াইয়ে শুরুটা ভালো হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছেন অধিনায়ক।
'হ্যাঁ অবশ্যই। শুরুটা ভালো করতে পারা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেরা সবাই ভালো শুরু করেছে, প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ হারার পর। পরের ম্যাচের জন্য ভালো অবস্থানে থাকবে ছেলেরা।'