রোডস, ওয়ালশ ও ম্যাকেঞ্জির অভিজ্ঞতাও বাংলাদেশের শক্তি

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ ম্যাকেঞ্জির বিশ্বাস, আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ কোচিং স্টাফ থেকে প্রত্যাশিত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
ইংলিশ কন্ডিশনে দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের। গ্লচেস্টারশায়ারের হয়ে দীর্ঘদিন কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। ডারহাম, ইয়র্কশায়ারের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ব্যাটিং কোচ ম্যাকেঞ্জির। প্রধান কোচ স্টিভ রোডস দীর্ঘদিন কাউন্টি খেলেছেন উস্টারশায়ার ও ইয়র্কশায়ারের হয়ে, কোচিং করিয়েছিলেন নিজ দল উস্টারশায়ারকেই। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে প্রতিভা অন্বেষণের কাজও করেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যু সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন রোডস।

‘আমরা ভিন্ন টেকনিক নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রধান কোচ, স্টিভ রোডস একজন ইংলিশম্যান। তিনি ইংলিশ কন্ডিশন ভালো করেই জানেন। কাউন্টি উইকেট ও কন্ডিশন কেমন হবে, ভালোই জানা আছে তাঁর। কোর্টনি ওয়ালশ দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডে খেলেছেন। আমি ইংল্যান্ডে খেলেছি ৫ বছরের মতন। আমরা বিভিন্ন উইকেট কন্ডিশন বিবেচনা করে পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। আমরা ওদের সেই অনুযায়ী প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি,’ আয়ারল্যান্ড থেকে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেছেন ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি।
কোচিং স্টাফের সাথে দলের ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতার মিশেলে কঠিন পথ পাড়ি দেয়ার সামর্থ্য রাখে বাংলাদেশ দল। ম্যাকেঞ্জির বিশ্বাস,
‘স্কোয়াডে অনেক ভালো ক্রিকেটার রয়েছে। ব্যাটিং বিভাগে বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। তবে ওরা জানে বিশ্বের সেরা সেরা দলের বিপক্ষে খেলবে। এবারের বিশ্বকাপে প্রায় সাতটি দল আছে, যাদের বিশ্বকাপ জেতার সামর্থ্য আছে। প্রতি দলেই দারুণ সব ক্রিকেটার রয়েছে। বিশ্বকাপে নয়টি কঠিন ম্যাচ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। কোনো সহজ ম্যাচ থাকবে না।‘
ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে মাথা খাটিয়ে ব্যাটিং করলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। ইংল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় অনেকটা মন্থর উইকেট থাকায় ব্যাটিং টেকনিকেও পরিবর্তন আনতে হবে। ব্যাটসম্যানদের স্কয়ার অব দ্য উইকেটে জায়গা বানিয়ে খেলতে হবে। বলের গতি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চতুর হতে হবে। সময় নিয়ে বিলম্বে ব্যাট চালাতে হবে উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
‘আমাদের নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখতে হবে। ইংল্যান্ডে বল দ্রুত ব্যাটে আসবে না, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার তুলনায়। আমি মনে করি ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কিছু আছে। ইংল্যান্ডে অনেক স্লোয়ার বাউন্সার সামলাতে হবে। উইকেটে বল কিছুটা থেমে আসবে। এখানে কিছুটা সুবিধা পাবে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা। তবে ইংল্যান্ডে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় রান বের করতে হবে আমাদের। বাংলাদেশে আপনি হাত চালিয়ে দিতে পারেন, লেগ সাইডে রান বের করতে পারেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে আপনাকে বলের কাছে যেতে হবে, দেরিতে খেলতে হবে।‘