অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার দিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ইনজুরি, ফর্মহীনতার পরও নির্বাচকরা বিশ্বকাপ স্কোয়াড নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মধ্যে মোট ৯৬১ ওয়ানডে ম্যাচের অভিজ্ঞতা রয়েছে, প্রায় একশ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আরেক অভিজ্ঞ রুবেল হোসেনের। অভিজ্ঞতাই বিশ্বকাপে বাকি দল গুলো থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করবে।
পাঁচ সিনিয়রের সাথে গত বিশ্বকাপ খেলা সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকারদের সাথে সম্প্রতি ভালো পারফর্ম করা লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন, সাইফউদ্দিনে আস্থা রেখেছে নির্বাচকরা। বড় ধরনের রদবলদ না করে স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে নির্বাচকরা।
আবু জায়েদ রাহি, ইংল্যান্ডের কন্ডিশন বিবেচনায় বাংলাদেশ স্কোয়াডের একমাত্র সুইং বোলার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তাসকিন আহমেদ পছন্দ তালিকার শীর্ষে থেকেও ইনজুরির কারণে স্কোয়াডে সুযোগ পান নি। এছাড়া মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেনদের সাথে মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণ সামলাবেন, যিনি কিনা ২০১৫ সাল থেকেই বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্য। অভিজ্ঞতার কারণেই আসন্ন বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

‘এক থেকে চারের মধ্যে যাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে সবসময়। আর আমি মনে করি এখন যে অভিজ্ঞ দল ওয়ানডের...আমরা কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫১ শতাংশ ম্যাচ জিতেছি। এটা কিন্তু একটা প্লাস পয়েন্ট। যতগুলো ওয়ানডে খেলেছি তার মধ্যে ৫১ শতাংশ ম্যাচ জিতেছি। এই অভিজ্ঞতার কারণেই আমাদের প্রত্যাশা বেশি। আমি মনে করি এই দলের অবশ্যই সামর্থ্য আছে এক থেকে চারের মধ্যে থাকার।‘
তবে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ থাকায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পরিবর্তন আসতে পারে। এদের মধ্যে ইয়াসির আলি রাব্বির নাম বেশ জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে। সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের অধারাবাহিকতা রাব্বির দুয়ার খুলে দিতে পারে। যদিও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা স্থিতিশীল স্কোয়াড নিয়েই বিশ্বকাপে যেতে চাইবেন।
‘ফর্ম নিয়ে তো আমরা অবশ্যই চিন্তায় আছি। আরেকটি ব্যাপার হলো যে বিশ্বকাপের আগে এখনও তিন মাস সময় আছে। মাঝে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজও আছে। সুতরাং টিম ম্যানেজমেন্ট এবং কোচের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একটি সুযোগ সামনে আছে। আর এরা কিন্তু এর আগে পারফর্ম করেছে। এমন না যে পারফর্ম করেনি। এটি আসলে সময়ের ব্যাপার। আমার কাছে মনে হচ্ছে যে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেই আমাদের এখানে যে প্রস্তুতি ক্যাম্প আছে এখানে আমরা ইনশাল্লাহ ওদেরকে ভালো অবস্থানে পেয়ে যাবো।‘
সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা দল হিসেবে গণ্য করছেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপ খেলা নান্নু।
‘অবশ্যই সেরা দল। বিশ্বকাপের জন্য আমরা দল তৈরি করেছি, অবশ্যই এই মুহূর্তে এটা সেরা দল। এখানে কিন্তু একজন বাদে বাকি সবারই অভিজ্ঞতা আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার। আবু জায়েদ রাহিরই শুধু অভিষেক হয়নি। সেই হিসেবে আমি মনে করি যে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে ইনশাল্লাহ আমরা ভালো করবো।‘
স্কোয়াডঃ মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, আবু জায়েদ রাহি, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।