শিরোপা জয়ের পথ কঠিন হয়ে গেল, সুজনের স্বীকারোক্তি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা ধরে রাখার মিশন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুপার লীগের আগে পর পর দুই ম্যাচে হারের পর পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয়তে নেমে এসেছে আবাহনী, শীর্ষে থাকা রূপগঞ্জের সাথে আবাহনীর পয়েন্টের পার্থক্য ৪ পয়েন্টের।

বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে, স্বীকার করছেন আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। যার কারণে পহেলা বৈশাখের ছুটির দিনও মিরপুরের একাডেমীতে অনুশীলনে সময় কাটিয়েছে সুজনের ছাত্ররা।

‘অবশ্যই, একটু না। অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল,‘ অনুশীলন শেষে বলেছেন আবাহনী কোচ।

সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সুপার লীগের পাঁচটি ম্যাচই বাঁচা মরার ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবাহনীর জন্য। প্রিমিয়ার লীগের সেরা ছয়ের লড়াইটি সহজ হবে না, বিষয়টি স্পষ্ট প্রতিমেয়। তবে কোচ হিসেবে আবাহনীর কাছে প্রত্যাশিত পারফর্মেন্স না পাওয়ায় কিছুটা ক্ষুব্ধ সুজন।

কগজে কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হলেও সুপার লীগে জায়গা করে নেয়া তিন দলের কাছে হারতে হয়েছে আবাহনীকে। প্রাইম ব্যাংক, রূপগঞ্জের পর শেখ জামালও আবাহনীর দুই পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে। সুপার লীগে এই তিনটি দলের বিপক্ষে ফের দেখা হবে আবাহনীর।

সোমবার ফরহাদ রেজার প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুপার লীগের মিশন শুরু হবে। সুজনের প্রত্যাশা, আবাহনী টুর্নামেন্টের মূল পর্বের লড়াইয়ে শতভাগ সামর্থ্য দিয়ে খেলবে।

‘সুপার লীগে ছয়টা সেরা দল উঠেছে। ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারে। আমি ওইগুলো নিয়ে চিন্তা করি না। আমি চিন্তা করি কিভাবে আবাহনী পরের পাঁচটা ম্যাচে ভালো খেলবে। কালকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। একটা একটা করে যদি চিন্তা করি প্রাইম দোলেশ্বরের সাথে আমাদের ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি কোচ হিসেবে মনে করি আবাহনী এখনো তার সেরা ক্রিকেট খেলি নি।

‘কাগজে কলমে আমাদের যেই শক্তি, সেই শক্তিমত্তার পরিচয় আমরা এখনো দিতে পারি নি। উত্তরার সাথে আমরা একটা ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতেছি, কিন্তু আবাহনীর তুলনায় উত্তরা কোনো দলই না। ওই হিসেবে আবাহনী এখনো নিজেদের ছন্দে খেলতে পারেনি। আমি অপেক্ষায় আছি। সুপার লীগের এই ছয়টা ম্যাচ আবাহনী ছন্দে খেলবে।‘