কালো মেঘের নাম ‘ইনজুরি'

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম ইনজুরি। দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বেশীরভাগই ইনজুরির সাথে লড়াই করে আসছে। নতুন করে ইনজুরির দীর্ঘ তালিকায় যোগ দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই ইনজুরি বয়ে বেড়াচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন টেনিস এলবোর সমস্যায় ভুগছেন। মোহাম্মদ মিঠুন ও রুবেল হোসেনও বিশ্রাম নিয়ে প্রিমিয়ার লীগ খেলছেন। ইনজুরি থেকে ফিরে আইপিএল খেলছেন সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ইনজুরি শঙ্কায় তামিম ইকবালও। পেসারদের মধ্যে বিশ্বকাপ একাদশে সম্ভাব্য তালিকায় থাকা তাসকিন আহমেদ সবে মাত্র ইনজুরি থেকে ফিরেছেন।
বলা যায়, আসন্ন আয়ারল্যান্ড সফর ও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সেরা একাদশ মাঠে নামাতে টিম ম্যানেজমেন্টকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী মুশফিক ও রিয়াদের ইনজুরি নিয়ে বলেছেন,
‘মুশফিকের কিছুটা রিব ট্রমার ব্যথা ছিল। যদিও খেলাধূলার সঙ্গে এটার তেমন সম্পর্ক নেই, খেলতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। তবে ও যেহেতু পাজরে কিছুটা ব্যথার কথা কমপ্লেইন করছিল, তাই আমরা ওকে এমআরআই স্ক্যান করাই। স্ক্যানে ওর হাড়ে কোন সমস্যা ধরা পড়েনি। রিপোর্টটা নর্মাল এসেছে। আশা করছি ওর খেলতে কোন সমস্যা হবে না।

‘রিয়াদ ওর রিহ্যাব প্রোগ্রামের মধ্যেই আছে। আপাতত ও ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছে এবং সব ধরণের শটও খেলতে পারছে। কোন কমপ্লেইন ওর নেই এ ব্যাপারে। আমরা আস্তে আস্তে ওর বোলিং এবং ফিল্ডিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো। এখন পর্যন্ত ওর অগ্রগতি সন্তোষজনক। ক্যাম্পে যোগ দিতে ওর কোন সমস্যা হবে না।‘
আবাহনীর হয়ে প্রিমিয়ার লীগের শুরুতে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন রুবেল হোসেন। পরবর্তীতে ইনজুরি শঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় বিশ্রাম দেয়া হয় রুবেলকে। বিশ্রাম নিতে হয়েছে মিঠুনকেও।
‘আর যারা খেলছে তো ওরা খেলছেই। ফিটনেস নিয়ে তো আমাদের বলার কিছু নাই। যাদের কথা বলছেন, তারা তো খেলছেই। রুবেলের রিহ্যাব এই সপ্তাহে শেষ হতে যাচ্ছে। শনিবার থেকে ওর বোলিং প্র্যাকটিস শুরু হবে। আশা করছি পর্যাপ্ত পূনর্বাসন এবং বিশ্রাম পেয়েছে ও।‘
টেনিস এলবোর সমস্যায় ভুগতে থাকা সাইফউদ্দিনকে ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইঞ্জেকশন দিলে বেশ কিছুদিন বিশ্রাম নিতে হবে তাঁকে। তাই ইনজুরির সাথে আপোষ করেই খেলে যেতে হচ্ছে এই তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে।
‘সাইফউদ্দিন এখন এই মুহুর্তে খেলার মধ্যেই আছে। ফিটনেসজনিত কারণে কিন্তু ও খেলা থেকে দূরে নেই। ও সব খেলাই খেলছে এবং যথেষ্ঠ ভালো পারফর্ম করছে। ওর ব্যাপারে আমরা যথেষ্ঠ খুশি। এই মুহুর্তে আমরা ইঞ্জেকশনের চিন্তা করছি না। কারণ ইঞ্জেকশন দিলে একটা লম্বা সময় বিশ্রামের ব্যাপার থাকে।‘
বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মুস্তাফিজের নতুন ইনজুরি। তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালির ইনজুরি বাংলাদেশ দলের কর্তাব্যক্তিদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলছে। আশার কথা, মুস্তাফিজের এক্সরে রিপোর্টে কোনো চিড় ধরা পড়ে নি। দুই সপ্তাহ বিশ্রামের পরেই মুস্তাফিজের বিশ্বকাপ ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
‘এক্স-রেতে হাড়ে কোন চোটের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। ফ্র্যাকচারজনিত কোন সমস্যা নেই। লিগামেন্টে হালকা চোট আছে, ল্যাটারেল অ্যাংকল স্প্রেইন। এই ধরণের স্প্রেইন ওর আগেও ছিল। এগুলি প্রেডিকশন করা খুব কঠিন। তবে সাধারণত সপ্তাহ দুয়েক পরে ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। তাই আমরা আশা করছি দুই সপ্তাহ পর ও স্কিল ট্রেনিং শুরু করতে পারবে।‘