promotional_ad

সুপার সিক্সের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল শেখ জামাল

promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ১১তম রাউন্ডে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে নাসির হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আবাহনী লিমিটেডকে ৩ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার লিগের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।


নাসির বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে ৫ নম্বরে রয়েছে শেষ জামাল।


৬ ও ৭ নম্বরে থাকা মোহামেডান ও গাজী গ্রুপের একটি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে। ফলে এই দুই দলের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে দলটিকে। আবাহনীর দেয়া ২১২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে শেখ জামাল।


তারা দলীয় ৫ রানেই ওপেনার হাসানুজ্জামানের (৩) উইকেট হারায়। তিনি নাজমুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন। এরপর রানের খাতা খোলার আগেই ইলিয়াস সানিকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন সাইফুদ্দিন।


নুরুল হাসান (০) ও ইমতিয়াজ হোসেনকে (৩০) ফিরিয়ে আবাহনীকে ম্যাচে ফেরান স্পিনার সাঞ্জামুল ইসলাম। পঞ্চম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান অনুশ্তাপ মজুমদার ও নাসির হোসেন।


মজুমদার ৫৬ রান করে ফিরেছেন সাইফুদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে। ৪৫ রান করা নাসিরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন সৌম্য সরকার। শেষ দিকে জিয়াউর ১৬ রানের ইনিংস খেলে সৌম্যর দ্বিতীয় শিকার হলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তানবির হায়দার ও এনামুল হক।



promotional_ad

তানবির ৩৮ ও এনামুল ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। এর আগে, এই ম্যাচের শুরুতে বিকেসপিতে টসে জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শেখ জামাল। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটে ভালো হয় নি আবাহনী লিমিটেডের।


স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ করতেই সালাউদ্দিন শাকিলের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন জহুরুল ইসলাম অমি। শুরুতে উইকেট হারানো আবাহনী বড় বিপদে পড়ে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে।


বোলিংয়ে এসে এক ওভারে তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান নাসির হোসেন। এমনকি হ্যাট্রিকয়ের সুযোগও তৈরি করেছিলেন তিনি। ১৪ রানে ৪ উইকেট হারানো আবাহনীর পক্ষে হাল ধরেন মোহাম্মাদ মিঠুন এবং অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।


এই জুটিতে দুজন মিলে ৬০ রান যোগ করলেও ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ইলিয়াস সানির অলে বিদায় নেন মিঠুন। খানিকপর ৮ রান করা সাইফুদ্দিনও ফিরে যান ডাগাউটে।


১০০'র আগে ৬ উইকেট হারালেও দলের পক্ষে একাই লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। দলের বিপদে একাই রুখে দাঁড়ান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।


দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা যেখানে ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে উইকেটে নেমে একাই লড়াই চালিয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানোর পাশাপাশি দলকে লড়াই করার মত পুঁজি এনে দিয়েছেন তিনি।


দলীয় ১৪ রানে ৪ উইকেট হারানো আবাহনী মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত পুঁজি পায় ২১১ রানের। ১৩৯ বলে ১০১ রানের অসাধারণ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের মান বাঁচিয়েছেন তিনি।



সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ 


আবাহনী লিমিটেডঃ ২১১/৯ (৫০ ওভার)


(মোসাদ্দেক ১০১*) (নাসির ৩/২৪)


শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবঃ ২১৫/৭ (৪৮.৫ ওভার)


(মজুমদার ৫৬, নাসির ৪৫; সৌম্য ২/২৯, সাইফুদ্দিন ২/৩৯)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball