১২২ রানে অলআউট আবাহনী

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের বিপক্ষে আজ মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে মাত্র ১২২ রানে অলআউট হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বাধীন আবাহনী লিমিটেড।
দলের পক্ষে অধিনায়ক মোসাদ্দেক খেলতে পেড়েছেন সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস। যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে। বাদবাকি ব্যাটসম্যানদের আর কেউই তেমন রান করতে পারেননি।
আবাহনী শিবিরে ধ্বস নামানোর মূলে ছিলেন দুই পেসার শুভাশিষ রায়, মোহাম্মদ শহীদ এবং স্পিনার নাবিল সামাদ। শুভাশিষ ৩৭ রানে ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। যেখানে শহীদ এবং নাবিল প্রত্যেকে পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এদিন ম্যাচটির শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়তে হয়েছিল আবাহনীকে। রানের খাতা খোলার আগেই দারুণ ফর্মে থাকা ওপেনার জহুরুল ইসলামকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান রূপগঞ্জ পেসার শুভাশিষ রায়।
জহুরুলের পর দ্রুত বিদায় নিতে হয়েছে নাজমুল ইসলাম শান্তকেও। দলীয় ৮ রানের মাথায় উইকেটরক্ষক জাকের আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তাঁর উইকেটটিও তুলে নিয়েছেন শুভাশিষ।

ইনিংসের নবম ওভারের তৃতীয় বলে আবারও আঘাত হেনেছেন পেসার শুভাশিষ। ১৪ রান করা সৌম্য সরকারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি। ফলে মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারাতে হয় আবাহনীকে।
সৌম্য আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন আবাহনীর ভারতীয় রিক্রুট প্রিয়াঙ্ককৃত পঞ্চল। কিন্তু ১ রান করে মোহাম্মদ শহীদের প্রথম শিকারে পরিণত হয়েছেন তিনি। উইকেটরক্ষক জাকেরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
এরপর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাব্বির রহমানও। মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে শহীদের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। রানের খাতা খোলার আগেই তাঁকে ফিরিয়েছেন শহীদ। আর এরই সাথে ২৯ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বেশ বিপাকে পড়ে আবাহনী।
২৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আবাহনীর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলকে বিপর্যয় থেকে তুলে আনার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন তারা। তাঁদের ব্যাটে দলীয় পঞ্চাশ রানের কোটা পার করে আবাহনী।
অধিনায়ক মোসাদ্দেকের সাথে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। হাফসেঞ্চুরির আভাসও দিচ্ছিলেন খানিকটা। কিন্তু দলীয় ৭২ রানের সময় তাঁকে মুক্তার আলির হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান নাবিল সামাদ। এরই সাথে ৫৫ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নিতে হয় মিঠুনকে। আর আবাহনী হারায় তাদের ষষ্ঠ উইকেট।
মিঠুন আউট হওয়ার পর মোসাদ্দেকের সাথে ক্রিজে হাল ধরতে এসেছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। কিন্তু জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডারকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দিয়েছেন নাবিল সামাদ। মাত্র ১ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে এই ক্রিকেটারকে।
সাইফুদ্দিনের পর ক্রিজে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় মাত্র ৮৮ রানের মাথায় অষ্টম উইকেট পড়ার পর ক্রিজে নামেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকেও।
১১৩ রানের মাথায় ঋষি ধাওয়ানের বলে মোহাম্মদ শহীদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১৫ রান করতে পেরেছেন মাশরাফি। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি আবাহনী। অলআউট হয়েছে ১২২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আবাহনী লিমিটেডঃ ১২২/১০ (মোসাদ্দেক-৪০, মিঠুন-৩৮; শুভাশিষ-৩/৩৭, শহীদ-২/১১)