পনেরোর জুনিয়র থেকে ঊনিশের সিনিয়র

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলা তরুণ সৌম্য সরকার এবারের আসরে মাঠে নামবেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের তকমা নিয়ে। স্বভাবতই বাড়তি দায়িত্ব বর্তাবে তাঁর উপর। তাই নিজের পরিকল্পনায়ও পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন তিনি।
গত আসরে চাপমুক্ত হয়ে খেলেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রথম বল থেকে প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ করার সহজাত ব্যাটিং করতেন তিনি। কিন্তু এবার সেই সুযোগ থাকছে না তাঁর। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে দলের দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকে। নিজের কাছে দুই বিশ্বকাপের পার্থক্য তুলে ধরতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন সৌম্য।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অনুশীলন শেষ সাংবাদিকদের বলেন, 'আসলে আগের আসরে একেবারেই নতুন ছিলাম। আর এবার যদি সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই পরিকল্পনা তেমনই থাকবে। হয়তো বা এবার পরিকল্পনা একটু ভিন্ন থাকবে। ঐ সময় যেভাবে জুনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে ফ্রি মাইন্ডে খেলেছি এখন হয়তো অতটা ফ্রি থাকবো না, একটু চাপ তো থাকবে।'

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ৫ বছর খেলার অভিজ্ঞতা ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে ইচ্ছুক এই টাইগার ব্যাটসম্যান। তবে নিজের ভিতরের সাহস হারাতে নারাজ তিনি। খেলতে চাইছেন নিজের সহজাত খেলা। তাঁর ভাষ্যমতে,
'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে ওখানে গিয়ে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। আগে যে বিশ্বকাপ খেলেছি, বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছি- ওখানে যে সাহস নিয়ে খেলেছি সেটা ধরে রাখার চেষ্টা থাকবে।'
বিশ্বকাপের আগে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করছেন সৌম্য। যার মধ্যে রয়েছে পরিস্থিতি বিবেচনা করে খেলা এবং সঠিক পরিকল্পনা সাজানো। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন,
'যে খেলাগুলো চলছে আমি সেখানে পরিকল্পনা করছি এবং খেলার পরিস্থিতি এবং গেম প্ল্যান নিয়ে বেশি কাজ করছি। এখানে তো খেলছি অবশ্যই, তবে তার মধ্যেও চিন্তা করছি যে এই পরিস্থিতিতে ওখানে খেললে কেমন হবে বা এখন আমি যদি আউট হয়ে যাই তাহলে দল কেমন চাপে পড়বে। সুতরাং এই চিন্তাগুলো করে আরকি সবকিছু মিলিয়ে খেলা।'