বিশ্বকাপ এবং গিলক্রিস্টের সততা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০০৩ সালের ১৮ই মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে সততার অনন্য একটি নজির রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। সেবার শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে অরবিন্দ ডি সিলভার একটি বল সুইপ করতে গিয়ে কুমার সাঙ্গাকারার হাতে ধরা পড়েন এই অজি।
কিন্তু মাঠে দায়িত্বরত আম্পায়ার রুডি কোয়ার্টজেন সেটিকে আউট দেননি। অথচ গিলক্রিস্ট নিজেই আউট বুঝে সাজঘরের দিকে হাঁটা দিয়েছিলেন। আরেকটি বিশ্বকাপ যখন দোরগোড়ায় তখন সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

ক্রিকেটে এভাবে আম্পায়ার আউট না দেয়ার পরেও মাঠ ত্যাগ করা কতটা সঠিক সেটি নিয়ে সেই ভিডিওতে কথা বলেছেন সাবেক অনেক তারকা ক্রিকেটাররা। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল যেমন মনে করেন এই ধরণের ব্যবহারে দোষের কিছু নেই। তবে আউট হওয়ার পরও নিজে থেকে বিদায় নেন না তাঁদেরকে প্রতারক ভাবতে নারাজ তিনি। চ্যাপেল বলেছেন,
'আপনি যদি আম্পায়ার আউট না দিলেও মাঠ ত্যাগ করেন তাহলে দোষের কিছু নেই। তবে আপনাকে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আমি হতাশ হই যখন দেখি মানুষ প্রতারক হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে তাঁদের যারা নিজে থেকে চলে যায় না।'
সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে জানিয়েছেন স্কুল জীবন থেকেই এই প্রথার সাথে চলে আসছেন তিনি। আউট হয়েছেন বুঝতে পারলেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি একাধিকবার। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন ব্যবহার আসলেই অভাবনীয় বলে মনে করেন মাহেলা। তাঁর ভাষায়,
'স্কুল জীবন থেকে আমি নিজেই মাঠ থেকে চলে আসতাম আউট বুঝতে পারলে। তবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে এমনটা ভাবাই যায় না। গিলিকে আমি এর জন্য অনেক সম্মান করি।'
উল্লেখ্য বিশ্বকাপের সেই ম্যাচটিতে ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৪৮ রানের জয় পেয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গিলক্রিস্টের এই সততাই উঠে এসেছিলো পাদপ্রদীপের আলোয়।