|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এবারের আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে ১ উইকেট শিকার করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর ফলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জার্সিতে খেলা সাকিব টপকে গিয়েছেন কিংবদন্তী অজি স্পিনার শেন ওয়ার্নকে। 

২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ৫৫ ম্যাচে মোট ৫৭ উইকেট শিকার করেছিলেন ওয়ার্ন। কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলা সাকিব কলকাতার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন সমান সংখ্যক উইকেট নিয়ে। 

রবিবার আইপিএলের আসরে কলকাতার ওপেনার ক্রিস লিনের উইকেটটি নিয়ে ওয়ার্নকে ছাড়িয়ে যান সাকিব। 
আইপিএলে ওয়ার্নের ইকোনমি রেট ছিলো ৭.২৭ এবং গড় ২৫.৩৮। অপরদিকে টাইগার অলরাউন্ডারের ইকোনমি ৭.৩৯ এবং বোলিং গড় ২৭.৩১। 
 
আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় শীর্ষে অবশ্য আছেন লঙ্কান পেস তারকা লাসিথ মালিঙ্গা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ১৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৬.৮৬ ইকোনমি এবং ১৯.০১ গড়ে ১৫৪ উইকেট শিকার করেছেন এই লঙ্কান। 

মালিঙ্গার পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানটিতে রয়েছেন অমিত মিশরা এবং পিয়ুস চাওলা। ডেকান চার্জার্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে ১৩৬টি আইপিএলের ম্যাচ খেলেছেন দ্বিতীয়তে থাকা লেগ ব্রেক বোলার মিশরা। যেখানে ৭.৩৯ ইকোনমি রেট ও ২৪.১৪ গড়ে শিকার করেছেন ১৪৬টি উইকেট।

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে চাওলা এখন পর্যন্ত খেলেছেন মোট ১৪৫টি ম্যাচ। ৭.৭১ এবং ২৬.২১ গড়ে তৃতীয়তে থাকা এই স্পিনার শিকার করেছেন ১৪১টি উইকেট।

শীর্ষ পাঁচের বাকি দুই স্থান দখলে রেখেছেন ক্যারিবিয়ান ডোয়াইন ব্রাভো ও ভারতের অভিজ্ঞ স্পিনার হরভজন সিং। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংস, গুজরাট লায়ন্স এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন চতুর্থতে থাকা ব্রাভো। মোট ১২৩ ম্যাচে ১৩৭ উইকেট শিকার করেছেন এই ক্যারিবিয়ান। তাঁর ইকোনমি রেট ৮.৪৩ ও গড় ২৪.০০।

পঞ্চম স্থানে থাকা হরভজন আইপিএলে খেলেছেন চেন্নাই এবং মুম্বাইয়ের হয়ে। ২০০৮ সাল থেকে আইপিএলে খেলা এই ভারতীয় স্পিনার শিকার করেছেন এখন পর্যন্ত ১৫০ ম্যাচে ১৩৭টি উইকেট। যেখানে তাঁর ইকোনমি রেট ও বোলিংয়ের গড় যথাক্রমে ৭.০৩ ও ২৬.৮২।